রোববার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে মাস্টারকার্ডের অ্যারাবিয়ান নাইটস ইন দুবাই বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, ডিজিটাল পেমেন্টে উৎসাহিত করতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা, অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থা চালু করতে পারবো। ই-কেওয়াসি চালু করা হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ অন্য সব কাজ খুব সহজে করা যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল মন্ত্রীর কাছে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা উৎসাহিত করতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়ার আবেদন জানান।
তিনি বলেন, ক্যাশ ইনসেনটিভ দিলে মানুষ ডিজিটাল পেমেন্টে আরও উৎসাহী হবে।
আইসিটি খাতের মতো ডিজিটাল পেমেন্টেও ইনসেনটিভ দেওয়া যেতে পারে বলে মত দেন কামাল।
ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার বলেন, এটিএম ও পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) মেশিনে লেনদেন এখন আর প্রয়োজন নেই। এখন যেতে হবে অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনে। এক্ষেত্রে বিদেশের ব্যাংকগুলো অনেক এগিয়ে আছে।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম শিরিন বলেন, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করার জন্য এখন এটিএম বুথের প্রয়োজন নেই। মানুষ মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করছে। কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করে দিচ্ছে। এই ব্যবস্থা জনপ্রিয় করতে ই-কর্মাসও সহজলভ্য করতে হবে।
প্রাইম ব্যাংকের এমডি রাহেল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি তহবিল গঠন করে ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য গ্রাহককে ইনসেনটিভ দেওয়া যেতে পারে। এজন্য ব্যাংকগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
দেশের ১৬টি ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে মাস্টারকার্ড ব্র্যান্ড কার্ড ব্যবহারকারীদের ৫০ জনকে একটি ক্যাম্পেইনের আওতায় পুরস্কৃত করেছে মাস্টারকার্ড। দেশে এবং বিদেশে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা ও লেনদেন উৎসাহিত করতে মাস্টারকার্ড ২০১৮ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসজুড়ে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসই/এএ