কিন্তু গত কয়েকদিনে রংপুর কাস্টমস কমিশনারেটের এক মৌখিক নির্দেশে ভ্যাট বাড়ানোয় এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদনি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ীরা। এর ফলে পুরো বাংলাবান্ধা বন্দর জুড়ে বিরাজ করছে অচলাবস্থা।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা বাংলানিউজকে জানায়, ভারত থেকে পাথর আমদানিতে টন প্রতি ১০ ডলারের পরিবর্তে রংপুর কাস্টমস কমিশনারেটের এক মৌখিক নির্দেশে ১২ ডলার বা ২ ডলার বেশি ভ্যাট আদায় করায় গত ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। পরবর্তী ২ ডলার প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বন্দরে পাথর আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে তারা জানান।
এদিকে, ভারত থেকে পাথর আমদানি করা প্রায় ৫১টি ট্রাক আটকা পড়েছে বন্দরে। পাথর বোঝাই ট্রাকে পণ্য খালাস না হওয়ায় চালকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পঞ্চগড় আমদানি-রফতানি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বাংলানিউজকে জানান, ১০ ডলারের পরিবর্তে ১২ ডলার করায় খরচ বেশি পড়ছে, এতে করে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছে। তাই ১২ ডলারের পরিবর্তে পূর্বের ভ্যাট বহাল রাখার দাবিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (২ মে) রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস কমিশনারেটরের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসএইচ