ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দামে বনলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশুটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
দামে বনলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশুটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পশুর হাটে সারি সারিভাবে দাঁড়িয়ে আছে গরু, মহিষ, ছাগল। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী, হাটের এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করছেন। দামে বনলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশুটি। 

এ চিত্রটি এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বসা পশু হাটের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।

তবে বিক্রেতারা অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গেই অভিযোগ করেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় চোরাই গরু আসার কারণে তারা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সারা বছর ঈদকে সামনে রেখে পরিশ্রম করে পশু লালন-পালন করে যে দাম পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না।

ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তার সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে জেলায় ১০১টি পশুর হাটে প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে কোরবানিযোগ্য পশু। যারমধ্যে সদর উপজেলায় পশুর হাটের সংখ্যা ১২টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৮টি, নাসিরনগর উপজেলায় ৭টি, সরাইল উপজেলায় ৬টি, নবীনগর উপজেলায় ১৩টি, আখাউড়া উপজেলায় ৫টি, কসবা উপজেলায় ১৫টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ২৫টি, বিজয়নগর উপজেলায় ১০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট রয়েছে।  

এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় আরও কিছু হাট রয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় দুই শতাধিক হাট রয়েছে। সবগুলো হাটে বিভিন্ন সময়ে চলছে বেচাকেনা।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শহরতলীর কালিসীমা ও সুহিলপুর বাজারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কোরবানির পশু বেচাকেনা। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ বছর তুলনামূলকভাবে দাম কম।

বিজয়নগরের দত্তখোলা গ্রাম থেকে গরু নিয়ে আসা মলাই মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সারাবছর পরিশ্রম করে গরু লালন-পালন করলেও ঈদের সময় ভারতীয় চোরাই গরুর জন্য ন্যায্য দাম পাই না। সরকার যদি অবৈধভাবে আসা গরুর প্রবেশ বন্ধ করে, তাহলে আমরা ন্যায্য দাম পাবো।

শহরতলীর ভাটপাড়া গ্রাম থেকে আসা বিক্রেতা কুদ্দুস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ১৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত ৬টি বিক্রি করতে পেরেছি। আশা করছি, দিন যতই যাবে, ততই বাড়বে বেচাকেনা। এখন পর্যন্ত দাম কিছুটা ভালো পেলেও আশঙ্কা রয়েছে সামনের দিনগুলোতে।  

ক্রেতা জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দরদাম করে ৮০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি। বাজারে এখন পর্যন্ত পশুর দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি, এবার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হবেন।

অপর ক্রেতা আব্দুস সালামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশীয় খামারের গরু কিনেছি। কারণ সীমান্তের ওপার থেকে আশা গরুতে জন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে পারে। তাই দেশীয় গরুর দিকেই ঝোঁকটা বেশি। হাটে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। বিভিন্ন আকারের গরু বাহারি সাজে সাজানোয় ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাপস কান্তি দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে ১ লাখ ৫ হাজার ৯৬০টি পশু মজুদ রয়েছে। যে কারণে এ বছর জেলায় কোরবানির পশু সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই।  

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি হাটের নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। হাটের কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভারে সম্পন্ন হয়, সেজন্য পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও অজ্ঞানপার্টি অথবা জাল টাকা শনাক্ত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।