বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এফবিসিসিআই ভবনে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন, কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফজলে ফাহিম।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট আবারও দু’পক্ষকে নিয়ে সমাধানে বসবো।
এর আগে চামড়ার আড়তদারদের বকেয়া টাকা পরিশোধে ২৫ আগস্ট আবারও যৌথসভা করবে ট্যানারি সংশ্লিষ্ট তিনটি খাত।
১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বকেয়ার বিষয়ে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এসময় ট্যানারি মালিকরা ১৯৯০ থেকে ২০১০, ২০১১ থেকে ২০১৫ এবং ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনটি স্তরে বকেয়া চামড়ার দাম পরিশোধ করার দাবি জানান।
ফজলে ফাহিম বলেন, এ বছর চামড়ার দামে ধসের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার। একইসঙ্গে চামড়া কিনতে ট্যানারি মালিকদের অর্থের সংকট হলে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণসহ সার্বিকভাবে পাশে থাকবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা চামড়া বিক্রির বকেয়া টাকা পরিশোধে সব পক্ষ এক মত হয়েছে। এতে চামড়া খাতে বকেয়ার ব্যাপারে সমস্যার সমাধান হবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোন আড়তদার কতো টাকা পাবে ট্যানারি মালিকদের কাছে, সে বিষয়ে তালিকা করা হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চামড়ার নীতিমালা হচ্ছে। যা মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে ওঠার কথা রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফজলে ফাহিম বলেন, সারাদেশে চামড়া যে পুঁতে ফেলা হয়েছে, সেটা বিছিন্ন ঘটনা। এটা সামগ্রিক চিত্র না।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা আদায়ের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশের জায়গা থাকবে কি-না, তা ৩১ অগাস্টের পর বলা সম্ভব। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পাওনা পুরোটা পরিশোধ করার দাবি জানান দোলোয়ার হোসেন।
এসময় বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো প্রতিবছর আমাদের গড়ে ৬৫০ কোটির টাকা ঋণ দেয় বলে আপনারা জানেন। আসল ঘটনা হচ্ছে, আগের বছর ট্যানারি মালিকরা যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেন, ঠিক একই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়। এ বছর আমরা চারটি ব্যাংকের কাছ খেকে ১৫০ কোটি টাকা পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এসই/টিএ