কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছর ফ্রিজের ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে বৈচিত্র। মানোন্নয়নের আত্ম-বিশ্বাসে ফ্রিজ কম্প্রেসারের গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়েছে।
এদিকে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের আওতায় ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। আছে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার অথবা আরেকটি ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি। এসব কারণে ক্রেতাদের কাছে হটকেকে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।
ফ্রিজ বিক্রির এ সাফল্য উদযাপনে সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট এরিয়া ম্যানেজার ইভাল্যুয়েশন অ্যাওয়ার্ড জুলাই-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ব্যাপক প্রচার ও রেকর্ড পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রির সাফল্যে বিশেষ অবদান রাখায় ৩০ জন কর্মকর্তা এবং ২০ জন পরিবেশককে পুরস্কৃত করে কর্তৃপক্ষ।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবীর, সিরাজুল ইসলাম, মো. রায়হান, আরিফুল আম্বিয়া, ড. সাখাওয়াৎ হোসেন ও আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম, শাহজাদা সেলিম ও মো. শাহ আলম, অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল আলম ভূঁইয়া, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘২০১৯ সাল ওয়ালটনের জন্য নতুন মাইলফলক অর্জনের চ্যালেঞ্জিং ইয়ার। এ বছর স্থানীয় বাজারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারেও আশাতীত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন। বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্রেতাদের অভ্যাস, রুচি ও ব্যবহার উপযোগী ফ্রিজ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। ভারতের বাজারে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ বিক্রিতে হুন্দাই ও রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে আমেরিকায় যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। এছাড়া বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামে চাহিদা মোতাবেক পণ্য তৈরি করে দিতে কাজ চলছে।
তারা বলেন, এখন ওয়ালটনের টার্গেট ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজার। সেজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও সৃজনশীল ডিজাইনের গ্লোবাল মডেলের ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন।
এসব ফ্রিজের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইতালী, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ (কিউসি) বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে তাদের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্ট্রি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেওয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহক প্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য সারাদেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আওতায় ইতোমধ্যেই ২০ জনেরও বেশি ক্রেতা মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অসংখ্য ক্রেতা এক লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ ফ্রিজ, টিভি ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি পেয়েছেন হাজার হাজার ক্রেতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরআইএস/