ঢাকা, সোমবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা শিল্পকে আরো বিকাশ করবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
‘বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা শিল্পকে আরো বিকাশ করবে’ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী/সংগৃহীত

ঢাকা: বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা আয়োজন করা হলে এ শিল্প আরো বিকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এজন্য বস্ত্রশিল্পের সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা দেওয়া ও উদ্বুদ্ধ করাসহ উৎসাহিত করা হবে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ প্রথমবারের মত সফলভাবে উদযাপনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যাসোসিয়েশনসহ বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ‘ভিশন -২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। একটি আনুষ্ঠানিক দিবসের উদযাপন এখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাটখাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।

প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।