ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
৪২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

ঢাকা: চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রস্তাবসহ চারটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৪২৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৯তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগ (পাইলট) কর্মসূচি ১ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সেবা ক্রয়ে বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা (আইএসএ) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এ লক্ষ্যে টেন্ডার আহবান করা হলে ৪৯টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে পিইসি যাচাই করে ১৭টি রেসপনসিভ সংস্থা হতে প্রাথমিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, আরডিআরএস, এফআইভিডিবি এর অনুকূলে এই ৪ প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা ব্যুরো।  

মুস্তফা কামাল বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ কর্মসূচির জন্য সেবা ক্রয়ের নিমিত্ত অভিজ্ঞতাসম্মন্ন এবং উপযুক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা৷ এ কর্মসূচির  সার্বিক সহায়তা প্রদানসহ মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, গাইডলাইন, কারিকুলাম, মডিউল ম্যানুয়াল তৈরির জন্য একটি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উপযুক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য দরপত্র আহবান করা হলে ৩১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। পিইসি কর্তৃক যাচাই-বাছাইকৃত ৪টি রেসপনসিভ সংস্থার মধ্য থেকে ২টি প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।  

সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় কুয়েত ফান্ডের সহায়তায় পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) নির্মাণ প্রকল্পের পায়রা সেতুর নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণ তদারকি কাজের পরামর্শক সেবার ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেতুর নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে ইতোমধ্যে পূর্ত কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের সমাপ্তির সময় ১৪ মাস ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের অধীন নির্মাণ কাজের তদারকির জন্য মেয়াদ ১৪ মাস ১১ দিন বৃদ্ধি করে মোট ৮৯.৩৬ মাসের চুক্তিমূল্য ভেরিয়েশনে অতিরিক্ত ১২ হাজার ৬৩ লাখ ১৬৬২০ টাকা এবং সম্পাদিত চুক্তিমূল্য ২৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৫০ টাকাসহ মোট ৩৮ কোটি ৬০ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।  প্রকল্পের পরামর্শক সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্টস অ্যান্ড ট্যাকনোক্রেটস প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড কুনহুয়া ইনঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড, ডা. নাবিল আবদুল রহিম কনসালটেন্টস, ইনঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্লানিং কনসালটেন্টস লিমিটেড জয়েন্ট ভেনচার।  

এছাড়া কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা জোন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নং জিডি-১ লট-১ এর আওতায় টার্ন কি চুক্তির ভিত্তিতে ৫টি নতুন সাবস্টেশন স্থাপন, ৪টি  সাবস্টেশন এর মানোন্নয়ন ও ১ টি সুইজার্ড অ্যান্ড বে সম্প্রসারণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন। কাজটি পেয়েছে চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ জিয়ানসু নং ৩ ইলেকট্রিক পাওয়ার কনসালটেশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ৯১ কোটি ৯৮ লাখ ৪২২৬ টাকা।  

এদিকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ’। এ প্রকল্পের আওতায় পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংরক্ষিত রাসায়নিক পদার্থসমূহ জনগণের নিরাপত্তা স্বার্থে অস্থায়ী ভিত্তিতে দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর ও নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য গাজীপুর জেলার টঙ্গী শিল্প এলাকার কাঁঠালদিয়া মৌজায় ৬ একর জমিতে অস্থায়ী গুদাম নির্মাণের জন্য এই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৩টি কেমিক্যাল গোডাউন, ৩টি ভবন নির্মাণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।