ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

‘জিআরআই’র গাইড লাইনগুলো বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
‘জিআরআই’র গাইড লাইনগুলো বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য’ ওয়ার্কশপে উপস্থিত অতিথিরা

ঢাকা: গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের (জিআরআই) গাইড লাইনগুলো বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত, বিশ্বস্ত এবং ব্যবহারবান্ধব বলে জানিয়েছেন ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডভিত্তিক গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লি. যৌথ উদ্যোগে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘টেকনিক্যাল সিরিজেস প্রিপেয়ারিং এ সাস্টেনেবল রিপোর্ট’- শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএসই’র পরিচালক বলেন, জিআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ একবিংশ শতাব্দীতে প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হলো সততা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যা কোম্পানির ব্র্যান্ডিং, খ্যাতি এবং পণ্যের পার্থক্য কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বৃদ্ধি করে।

তিনি আরো বলেন, জিআরআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুনাফার দিক থেকে বিশ্বের ৯৩ শতাংশ বৃহত্তর কোম্পানির তিন-চতুর্থাংশ সাস্টেনেবল রিপোর্ট তৈরিতে জিআরআই এর কাঠামো ব্যবহার করে।

ইমন বলেন, জিআরআই মানঅনুযায়ী ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তা প্রদান ও পরিবেশ রক্ষা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স পরিপালন ও স্টেকহোল্ডারদের সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের উন্নতি, খ্যাতি বৃদ্ধি ও বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ডিএসই এরইমধ্যে সাস্টেনেবল রিপোর্টিংয়ের উপর নির্দেশিকা চালু করেছে এবং তালিকাভুক্ত সব কোম্পানিকে এটি অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

ডিএসইর পরিচালক আরও জানান, ১০ মাস সময়ের মধ্যে তিনটি ওয়ার্কশপ হবে, আর এটি দ্বিতীয় কর্মশালা।

ইমন আরো বলেন, ১৯৫৪ সালের স্টক এক্সচেঞ্জ আজকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। যদি জিডিপি, ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ এবং গ্রোথের সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের সে গ্রোথটা নেই।

সাউথ এশিয়া গ্লোবাল রিপোটিং ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ড. অদিতি হালদার বলেন, সাস্টেনেবল রিপোর্ট তৈরি এবং এটি প্রচারে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১১০টি দেশ জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডগুলো নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মত নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করলে এ কাজগুলো আরও সহজ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী, জেনারেল ম্যানেজার এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মাদ আসাদুর রহমান, জিআরআই সাউথ এশিয়ার সাস্টেনেবিলিটি এক্সপার্ট পল্লবী আত্রী, জিআরআই সাউথ এশিয়ার ডিএফএটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুবিনা সেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।