ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনা চলছে। চলতি মাসের ১৩ তারিখে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কথা হবে। এই ঋণে সুদের হার ৩ শতাংশের একটু বেশি হবে বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

জানা গেছে, ‘ঢাকা স্যানিটেশন ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

ফলে প্রায় ১৫ লাখ জনগণ উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধার আওতায় আসবে।

বর্তমানে ঢাকার যে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে, তার সুবিধা পাচ্ছে মাত্র ২০ শতাংশ জনগণ।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঢাকা স্যানিটেশন ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংক আমাদের ঋণ দেবে। তবে ঋণের হার কমানোর জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। ঋণে সুদহার ৩ শতাংশের সামান্য বেশি হবে। আমাদের সব কিছুই চূড়ান্ত পর্যায়ে। চলতি মাসের ১৩ তারিখে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হবে। এর পর প্রকল্প একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভায় অনুমোদন পেলেই ঋণচুক্তি হবে।

ইআরডি সূত্র জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার বহন করবে ১ হাজার ১৯৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শহরের একমাত্র পয়ঃশোধনাগারটির অবস্থান পাগলায়। স্যুয়ারেজ কানেকশন নেটওয়ার্কের ভঙ্গুরতার কারণে এই শোধনাগারটির ক্ষমতাও অর্ধেক কমে গেছে। ঢাকা শহরের অধিকাংশ জনগণ তাদের পয়ঃবর্জ্য আশপাশের স্টর্ম ওয়াটার ড্রেনেজ লাইনে অথবা খাল-বিলে নিষ্কাশন করছে। ফলে নদী ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সার্বিকভাবে ঢাকা শহরের জনগণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়।

এই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ঢাকার দক্ষিণে অবস্থিত পাগলা ক্যাচমেন্টের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়। এ সময় সংস্থাটি ঋণ দেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় যাবতীয় কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরে দ্রুত সময়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তিও সম্পন্ন হবে বলে জানায় ইআরডি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।