সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের ই-কন্টেন্ট ও ভিডিও কন্টেন্ট নির্বাচন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না। দেশে চাহিদানুযায়ী ডিমের পর্যাপ্ত উৎপাদন রয়েছে। এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করলে দেশের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে।
১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মোট ৫৫টি (মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫টি, মৎস্য বিষয়ক ২০টি এবং প্রাণিসম্পদ বিষয়ে ৩০টি) বিষয়ভিত্তিক উন্নততর ও সহজবোধ্য ই-কনটেন্ট ও ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, সেবা গ্রহণকারীর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে; স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবাগুলো আরও জনবান্ধব এবং সহজসাধ্য করার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে একটি করে কল সেন্টার স্থাপন করা হবে। দেশের ৪৯১টি উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, গবাদিপশু পালনকারী, খামারি, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা সরাসরি এই প্রকল্পের সুফলভোগ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
জিসিজি/জেডএস