২০০৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে গ্রামীণফোন। প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী বই পড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, বই পড়ার চর্চা শিশুদের বিকশিত করার মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে আলোকিত করে তোলে। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহতী ও জাতি গঠনের এ কার্যক্রমের অংশ হতে পেরে গ্রামীণফোন অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আলোকিত মানুষ গড়ায় আমি নিজেকে এ যাত্রার একজন মনে করি। আমি আশা করি, এ বই পড়া কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পৌঁছে যাবে এবং আলোকিত মানুষ গড়ার মাধ্যমে সমাজের অসমতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বে তথ্যের অনেক উৎস রয়েছে। সেক্ষেত্রে বই থেকে জ্ঞানার্জনের অন্যতম উপায়। আমাদের চিন্তার বিকাশ এবং কল্পনাশক্তি গঠনের পাশাপাশি অসীম জ্ঞানার্জনে বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা বই পড়ার অভ্যাসকে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় আমরা দেশজুড়ে বই পড়ার চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে পারবো। এ উদ্যোগটি শিশুদের আলোকিত করার পাশাপাশি তাদের আরও অনেক বেশি বই পড়তে উৎসাহিত করবে।
২০১৪ সালে গ্রামীণফোন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ‘আলোর পাঠশালা’ নামক ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করে। যেখানে বিনামূল্যে বই পড়া ও ডাউনলোডের সুবিধা রয়েছে। এ ডিজিটাল লাইব্রেরিটিতে পাঁচশ’রও বেশি বই রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ওয়েবসাইট www.alorpathshala.org থেকে ১৫ লাখেরও বেশি বই ডাউনলোড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
পিআর/আরবি/