এদিকে ভারত সরকার বন্দরগুলোতে অতিরিক্ত সর্তকর্তা জারি করায় পণ্যবাহী ট্রাকসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি-রপ্তানিতে শিথিলতা থাকলেও গত তিন দিনে এই বন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল লক্ষ করা যায়নি।
এ নিয়ে কামালপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন করে এলসি (আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্র) না করায় পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।
বন্দরটি দিয়ে যানবাহন চলাচল না করলেও করোনা প্রতিরোধে থার্মাল স্কেনার নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন সেমকো নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল টিম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কামালপুর স্থলবন্দরে অবস্থান করে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসরোধে বন্দরে অতিরিক্ত সর্তকর্তার অংশ হিসেবে সেখানে একটি মেডিক্যাল টিম রয়েছে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মরকর্তা (ইউএনও) আ স ম জমশেদ আলী বাংলানিউজকে জানান, ভারত ও বাংলাদেশে করোনা দেখা দেওয়ায় অতিরিক্ত সর্তকর্তার কারণে আমদানি-রপ্তানি কমে গেলেও বন্দর সচল রয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্ধ করার নির্দেশনা সর্ম্পকে জানানো হয়নি।
পাথর নির্ভর এ স্থলবন্দরটি চালু হয় ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে এই স্থল বন্দরটি পুরাপরি বন্ধ করে ভারত সরকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই কামালপুর স্থল বন্দরটি শুধু মাত্র এলসি স্টেশনটি হিসেবে চালু হলেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা বন্ধ থেকে যায়।
আমদানি-রপ্তানি সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে কামালপুর ল্যান্ড কাস্টমসকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের রূপান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এসআইএস/এসআরএস