ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনা: বেনাপোলে বাণিজ্য বন্ধের আশঙ্কা

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
করোনা: বেনাপোলে বাণিজ্য বন্ধের আশঙ্কা

বেনাপোল (যশোর): করোনা সংক্রমণ এড়াতে ভারতে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞায় দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যাহতের পাশাপাশি বন্ধেরও আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও পর্যন্ত বাণিজ্য সচল রয়েছে।

এদিকে, ভারত থেকে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানিতে ঢাকার খামারবাড়ি থেকে আমদানিকারকদের আইপি না দেওয়ায় পেঁয়াজের নতুন এলসি বন্ধ রয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি বন্ধের পথে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে পণ্য আদান-প্রদানে দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু ভারত সরকার সাধারণ বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কেউ আসা-যাওয়া করতে পারছে না। এ নিষেধাজ্ঞা যদি দীর্ঘায়িত হয় তবে নতুন এলসিতে যেকোনো পণ্য আমদানি হওয়ার সম্ভবনা কম। এ সংকটের মধ্যে আমদানি বন্ধ হলে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাজার মূল্য বেড়ে যাবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে জানান, ভারত ও চীন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বড় কেন্দ্র। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস দেড়েক আগে চীন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য আদান-প্রদান বন্ধ করে। ভারতের সঙ্গে চলছিল বাণিজ্য। এখন ভারতে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় বাণিজ্যক ভিসা চালু রাখলে এ সংকট কিছুটা নিরসন হবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকরা জানান, অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে তাদের বাংলাদেশে আসতে হয়েছে। পরিবারের লোকজন করোনার কারণে আসতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু না আসলেতো সংসার চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে। তবে যেখান থেকে আমরা পণ্য নিয়ে এসেছি করোনা আতঙ্কের কারণে তারা এরপর আর অফিস খোলা রাখবেন না বলে জানিয়েছেন। এতে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

খুলনার সবচেয়ে বড় কাঁচামাল আমদানিকারক হামিদ এন্টারপ্রাইজের এলসি বিভাগের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজের এলসি করার জন্য ঢাকার খামারবাড়ি থেকে নতুন আইপি দিচ্ছে না। কেনো দিচ্ছেন না তাও স্পষ্ট করে বলছেন না। তবে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে। এতে সামনের সপ্তাহ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমদানি বন্ধ হলে আবারো এ পণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বগতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা সচল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন এজন্য বন্দরে সব ধরনের জনবল রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।