সম্প্রতি শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা চারটি সংগঠনের জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস) সুবিধা প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ইইউ ন্যায়পাল কার্যালয়ে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা চারটি সংগঠন বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিএসপি সুবিধা বাতিলের আবেদন করে।
গত ২৪ মার্চ জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে দিয়ে ন্যায়পাল কার্যালয় জানায়, শ্রম পরিবেশ ইস্যুতে ন্যায়পাল কার্যালয়ের তদন্তে বাংলাদেশের তেমন কোনো ক্রটি পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়নে ইউরোপীয় কমিশন যেসব পদেক্ষপ নিয়েছে এবং যেভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে, তা ঠিক আছে।
আগামীতে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ইউরোপীয় কমিশন নেবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের এ মহামারির সময় সুখবর পেল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। এ সুখবরকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের গার্মেন্টস উদ্যোক্তারা।
এ বিষয়ে দেশের পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে চারটি শ্রমিক সংগঠন বলেছিল বাংলাদেশ তাদের শ্রমিকদের ন্যায় প্রদান করেন না। এরপরই ইইউ ন্যায়পাল কার্যালয় বিষয়টি তদন্ত করে। তদন্তে তাদের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।
‘সব বিবেচনা করে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংকটময় মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ন্যায়পাল কার্যালয়ের আদেশটি আমাদের জন্য অত্যন্ত একটি সুসংবাদ,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
জিসিজি/এমএ