মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সাধারণত খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী, ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান, ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। উভয় সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ টাকা কেজি দরে এ গম সংগ্রহ করা হবে। ১৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহ চলবে।
খাদ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য বছর আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়৷ কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্ধারিত কৃষকদের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর সরাসরি ধান কিনবে।
উল্লেখ্য, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার গত আমন মৌসুম থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। গত বোরো মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন চাল সংগ্রহ করছিল সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/