বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কেরুর মূল পণ্য হচ্ছে আখ থেকে উৎপাদিত চিনি।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, কেরুতে দুই ধরনের ভিনেগার উৎপাদিত হয়। সাদা ভিনেগার ও মল্টেড ভিনেগার। ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে কেরুর ফার্মাসিটিক্যাল বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে ডিস্টিলারি সহায়ক পণ্য শাখা স্থাপন করে ভিনেগার উৎপাদন শুরু হয়। উক্ত কারখানায় ভিনেগারের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) হাজার লিটার। প্রতি ৪৫০ মিলিলিটারের বোতল ৫০ টাকা ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতল ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পাশাপাশি ভিনেগার উৎপাদন অব্যাহত আছে। বর্তমানে বাজারে ভিনেগারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর পাশাপাশি ভিনেগারের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং দেশিয় পণ্যের বাজার তৈরিতে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি প্রথম বাজারে নিয়ে আসে কেরুজ হ্যান্ড সেনিটাইজার। হ্যান্ড সেনিটাইজার উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পরিবেশবান্ধব জৈব সার ‘সোনার দানা’ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। অন্যদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন টিউবস এলইডি লাইট উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরীক্ষামূলকভাবে ডাবল কেবিন পিকআপ সংযোজন শুরু করেছে। চিনি ও ডিস্টিলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি/