প্রথম প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ। যার মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪ দশমিক ০৪ কোটি গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম প্রান্তিকের ব্যসসায়িক ফলের চিত্র তুলে ধরে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমরা ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। মার্চ পর্যন্ত এনওসি অনুমোদনের উপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিনিষেধ থাকায় আমরা পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে পারিনি। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকের শুরু থেকে আমাদের নম্বর সংকট দেখা দিয়েছিল, যেটি মোট গ্রাহকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় প্রথম প্রান্তিকের শেষে ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ।
ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর কঠিন পরিস্থিতে আমাদের পার্টনার, আইন-শৃংখলা বাহিনী, প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা গ্রাহক সেবায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে এই কঠিন সময়ে আমরা সামাজিকভাবে আমাদের অবদান নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত হয়ে আমরা আমাদের প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনেতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি এবং একই সাথে ডেটা এনালাইসিসি ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিরূপণে ম্যাপিংয়ে সহায়তা করছি। করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধাদের জন্য আমরা ৫০ হাজার মেডিক্যাল গ্রেড প্রফেশনাল পিপিই এবং পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিট বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এনওসির অনুমোদন পাওয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি সামনের দিনগুলো আমাদের গ্রাহক সেবার মান আরও উন্নত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অপারেটরটি জানায়, ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিনসহ প্রথম প্রান্তিকে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ কোটি টাকা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ দশমিক ৯২ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা ইন্টারনেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের বির্নিমাণের অংশীদার হিসাবে আমরা আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো। আমাদের শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি মানসম্মত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নির্মাণ ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ১৯৭টি নতুন ফোরজি সাইট করা হয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৪২। ভ্যাট, ফোরজি লাইসেন্স ফি, স্পেকটার্ম এ্যাসাইনমেন্ট ফি, ডিউটি ও ফিস বাবদ প্রথম প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা প্রদান করেছে, যা মোট আয়ের ৬৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি/