ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনা প্রতিরোধে দুধের বিশেষ ভূমিকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
করোনা প্রতিরোধে দুধের বিশেষ ভূমিকা

ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে আতঙ্ক আর শঙ্কার নাম করোনা ভাইরাস, যার থাবায় বিশ্বে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না কোনো বয়সের ব্যক্তিই। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একের পর এক গবেষণা করে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা। এতদিনেও আবিষ্কৃত হয়নি এর কোনো প্রতিষেধক। তবুও থেমে নেই এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে উপায় বের করার প্রচেষ্টা।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এর ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের যে মারাত্মক লক্ষণ অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, সেগুলো সহজে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন বেশি পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হলো কিছু ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইম, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের (দেহের কোষ, প্রোটিন ও ডিএনএ ক্ষতি করে এমন কিছু) বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে শরীরে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

প্রধান অ্যান্টি–অক্সিডেন্টগুলো হলো বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই, লাইকোপেন, লুটেইন সেলেনিয়াম। যার বেশির ভাগ উপাদান রয়েছে দুধে। দুধ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। এছাড়া দুধে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম, যা ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুগ্ধ প্রজনন শিল্পের পেশাদারদের অনলাইন কমিউনিটি দ্য বুলভাইন-এর এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, দুধ পান করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সহায়তা করে। সেখানে বলা হয়, দুধ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত কারণ এটিতে ‘ল্যাকটোফেরিন’ থাকে, যা এক ধরনের প্রোটিন। আর এটিই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ভিটামিন সি ও জিংক, উভয়ই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শরীরে জিংক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন দুগ্ধজাত খাবার। বিজ্ঞানের ভাষায় দুগ্ধজাত খাবারগুলো প্রোবায়েটিকস হিসেবে পরিচিত। এসব খাবার পাকস্থলীতে উপকারী জীবাণুগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো আমাদের খাদ্যনালী এবং অন্ত্রে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখে। দই, বাটার মিল্ক, পনির, ছানা প্রোবায়োটিকসের ভালো উৎস। যার শারীরিক গঠন ভালো এবং শরীরে প্রয়োজনীয় উপাদানের কোনো ঘাটতি থাকে না, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়ে থাকে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার অন্যতম একটি উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এর জন্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট খাবার গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। প্রোবায়োটিকস শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্র সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। টকদই ও দুধ থেকে প্রস্তুত খাবার প্রোবায়োটিকসের আদর্শ উৎস। তাই এখন সব বয়সের মানুষেরই নিয়মিত দুধ পান ও দুধ থেকে তৈরি খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এখন ঘরে বসে ফার্ম ফ্রেশ দুধসহ সব ডেইরি পণ্য (টক দই, মিষ্ট দই, বাটার, ঘি) পেতে কল করুন টোল ফ্রি নম্বর ০৮০০০০১৬৬০৯ এ অথবা ভিজিট করুন https://aladdin.akijfood.com/

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।