ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

পাটকল আধুনিকায়ন-লাভজনক করার দাবি প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
পাটকল আধুনিকায়ন-লাভজনক করার দাবি প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের

ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিন্ধান্ত বাতিল করে জাতীয় স্বার্থে পাটকল চালু রেখে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করার দাবি জানিয়েছে দেশের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনসমূহ।

শনিবার (০৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি করা হয়।

প্রকৌশলী নিমাই গাঙ্গুলীর সভাপতিত্বে ও যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুমের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বাফী রতন, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, সাবেক ছাত্রনেতা আকরামুল হক, লেখক প্রকাশক রবীন আহসান, ইএইডি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রাসেদুল হাসান রিপন, গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা সাদিকুর রহমান শামীম, সাবেক ছাত্র নেতা লিটন নন্দী, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, হকার্স ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ ১৯৫০ দশক থেকে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি এদেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পাটকলগুলো। পাটশিল্পের সঙ্গে পাট চাষিসহ কোটি কোটি মানুষ জড়িত। পিপিপি বা ব্যাক্তি মালিকানায় হস্তান্তরের নামে কতিপয় লুটপাটকারী পুঁজিপতির স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে পাটকল বন্ধ দেশের জন্য মারাত্মক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

সমাবেশ থেকে আরও বলা হয়, ১৯৮৪ সালে পাটকল শ্রমিক নেতা শহীদ তাজুল ইসলাম জীবন দিয়ে এদেশের শ্রমিকদের দাবি আদায় করেছিল। ১৯৯৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ’র সঙ্গে চুক্তি করে সরকার পাটকল বন্ধ করতে চাইলে শ্রমিকরা লড়াই করে ১৭ জন শ্রমিক জীবন দিয়ে পাট শিল্প রক্ষা করেছিল। এবারেও শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট পক্ষে সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে পাটকল বন্ধের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পাটকল শ্রমিক ও দেশবাসী মেনে নেবে না, সরকারের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গার্মেন্টসহ ব্যাক্তি মালিকানাধীন শিল্পের মালিকদের শ্রমিক ছাঁটাই এবং কারখানা বন্ধের জন্য উৎসাহীত করবে। এ অবস্থায় ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পাটশিল্প বন্ধ না করে শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মিলগুলো আধুনিকায়ন ও লাভজনক করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে অবিলম্বে পাটকল বন্ধ করে বেসরকারি খাতে তুলে দেওয়ার সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি ও পাট চাষিদের বাঁচাতে পাটশিল্প দুর্নীতিমুক্ত করে আধুনিকায়ন করতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
আরকেআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।