বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশের মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পের সংকট ও প্রতিকার নির্ধারণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএ মোমেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করাই এখন উদ্যোক্তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সংকট শুরুর পরপরই সরকার তা মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে ঘোষিত এ প্যাকেজ হতে ঋণ সুবিধা পাওয়া উদ্যোক্তাদের সংখ্যা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএ মোমেন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্য খাতগুলোর মধ্যে এ খাতটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ খাতের উদ্যোক্তারা নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, প্রতিবছর এ খাতে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার হয়। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ খাতের উদ্যোক্তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যেখানে বর্তমানে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচলনাই অনেকটা হুমকির মুখে।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করে সরকারের কাছেট হস্তান্তর করেছে। তবে এ খাতের উদ্যোক্তাদের ১০০ কোটি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারিকালে এ খাতের বাৎসরিক মোট ১২ হাজার কোটি টাকার বাজারের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এ শিল্পের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের টিকে থাকার জন্য ঘোষিত প্রণোদনার প্যাকেজ থেকে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতরণের উপর জোরারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
জিসিজি/এএ