বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশ এডুকেশন পলিসি প্রায়োরিটিজ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশ ২০২১ সালে কোথায় যাবে তা নিয়ে নানা স্বপ্ন তৈরি হয়েছে মানুষের ভেতরে।
‘সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা দিতেও কাজ করছে সরকার। জনসংখ্যাকে বোঝা নয়, সম্পদ বলে ভাবছি আমরা’।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানি।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রারম্ভিক শিশু বিকাশে শিক্ষাক্ষেত্রে সময়োপযোগী ও সঠিকভাবে এক টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে ১৯ টাকার সুফল মিলবে। অল্পশিক্ষিত গার্মেন্টস বা কারখানা শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করতে ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার জন্য বিনিয়োগ করলে ১ টাকার বিপরীতে ৫ দশমিক ৪ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব। অথচ বিনিয়োগ হিসেবে শিক্ষা সবচেয়ে লাভজনক হলেও এ খাতে প্রত্যাশিত বাজেট বরাদ্দ হচ্ছে না।
সেমিনারে ‘বিলম্বে শিশু বিয়ে ও শিক্ষার মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহসানুজ্জামান।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ, কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের আউটরিচ ম্যানেজার হাসানুজ্জামান জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
ইউএম/জিপি/এএসআর