রোববার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের চতুর্থ সভায় এ কথা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মাধ্যমিক ও শিক্ষা উচ্চ বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব মেধাবৃত্তি, বৃত্তি ও অন্যান্য বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। একমাত্র শিক্ষাই পারে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে।
শিক্ষার আধুনিকায়ন ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা চালুর সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আস্থা বেড়েছে।
পাহাড়ি ও হাওর অঞ্চলে আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি চালুর সুবিধা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ৯৬ সালের আগে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চাইতো না অভিভাবকেরা। অনেকে তাদের ছেলেমেয়েদের কাজে দিতো সামান্য অর্থের জন্য। আমরা ক্ষমতায় এসে উপবৃত্তি চালু করি।
শিক্ষা বিস্তারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছেন, নারী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ৩৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার এসে আরও ২৬ হাজার বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে মর্যাদা সম্পন্ন, সুশিক্ষিত আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। সরকার সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭/আপডেট ১৪৪৯ ঘণ্টা
এমইউএম/এইচএ/
** মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের অনুদান প্রধানমন্ত্রীর