ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইংরেজি মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
ইংরেজি মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশ

ঢাকা: ইংরেজি মাধ্যম স্কুল (প্লে-গ্রুপ থেকে ‘এ’ লেভেল পর্যন্ত) পরিচালনায় ম্যানেজিং কমিটি গঠন, জাতীয় দিবস পালন, দেশীয় সংস্কৃতিসহ বাংলায় গুরুত্ব দিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি কোনো ধরনের সেশন ফি নেওয়া যাবে না বলেও রায় দেন।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুলের রায়ে বৃহস্পতিবার (২৫ মে)  এ নির্দেশনা দেন।

আদালতে দু’টি রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অনিক আর হক ও জে আর খান রবিন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর।

পরে বদরুদ্দোজা বলেন, আদালত বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এ রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে নির্দেশনাগুলো সার্কুলার দিয়ে সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।

আর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রতিবেদন তিন মাস পর আদালতকে অবহিত করতে হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো- ‘বেসরকারি স্কুল নিবন্ধন অধ্যাদেশ-১৯৬২’ অনুসারে স্কুলগুলোতে অভিভাবকসহ শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করতে হবে। শিক্ষক  ও স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে। এতে মালিকপক্ষের কোনো প্রাধান্য থাকবে না। এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে ওঠার সময় কোনো ধরনের চার্জ (সেশন) নেওয়া যাবে না। ফি বাড়াতে হলে অভিভাবকদের মতামত নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

ম্যানেজিং কমিটি ভর্তি ফি, টিউশন ফি নির্ধারণ করবে। এতে অভিভাবক প্রতিনিধির মতামত প্রাধান্য পাবে।

সব প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে হবে। পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি বিষয়ে ও রবীন্দ্রনাথ-নজরুল, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতায় আত্মদানকারীদের জীবনী নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে।

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বিষয়ে পড়া, লেখা ও বলায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলেও জানান বদরুদ্দোজা বাদল।

অভিভাবকদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল  এসব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুন:ভর্তি ফি বা সেশন চার্জ আদায় থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন ওই আদেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকে ‘ফ্রিস্টাইলে চলছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাবেদ ফারুক।

রুলে এসব স্কুলে মাসিক বেতন, পুন:ভর্তি ফি বা সেশন চার্জ আদায়ের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি এবং তদারক সেল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। শিক্ষা সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পরবর্তীতে এ রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।

বাংলদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭,
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।