তিনি বলেছেন, উচ্চতর জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখার গবেষণার বই-পুস্তকগুলো ইংরেজি ভাষায়। ভাষার এ প্রতিবন্ধকতার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপকারিতা আত্মস্থ করতে পারছি না।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টের (বিএসএম) ৩২তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘ট্রেন্ডস ইন মাইক্রোবায়োলজি ফর সাসটেইনেবল অ্যাগ্রোইকোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এ সম্মেলন বিএসএম এবং যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, বিজ্ঞানের বই ও জার্নালগুলো অনুবাদ করা হলে বা বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হলে নতুন বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের ধারণাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আমরা আরও দক্ষ বিজ্ঞানী, দক্ষ প্রকৌশলী, দক্ষ চিকিৎসক সৃষ্টি করতে পারবো। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যারা পড়াশোনা করছেন, এতে তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন। আপনারা একটু উদ্যোগী হয়ে বিশেষ সেল গঠন করে এটি করতে পারেন। দেশের সব বিজ্ঞান, গবেষকদের এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা প্রয়াস নিন, দায়িত্ব নিন। আমরা সহযোগিতা করবো। তিনি বলেন, আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রীকে পেয়েছি, যিনি আগামী ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছেন। গবেষণা খাতে আরও বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা সচেষ্ট হওয়ার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. এ এস এম মতিউর রহমান ও ‘শান্তিস্বরূপ ভাতনগর’ পুরস্কারপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে যবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, যশোরের বিশিষ্টজন, দেশি-বিদেশি প্রায় আড়াই শতাধিক আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং পিএইচডি-এমফিল ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনে অণুজীব বিজ্ঞানের গবেষণা ছাড়াও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তন, জৈব তথ্য-প্রযুক্তির উপর গবেষণার বিষয়ে ১৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
ইউজি/জেডএস