সোমবার (৬ মে) বাহার পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। পরে দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে গত শনিবার (৪ মে) ভোর থেকে প্রবল বেগে বাতাস শুরু হলে বাগানে আম পড়ে। সকাল ৮টার দিকে মামাতো ভাই রাফি ও মামাতো বোন প্রমির সঙ্গে বাড়ির পাশে বাগানে আম কুড়াতে যায় ঝুমুর। আম কুড়ানো শেষে অন্য দুই জন ফিরলেও ঝুমুর ফেরেনি। পরে প্রতিবেশী সোনিয়া আক্তার নামে এক নারী বাগানের পাশের খালে ঝুমুরকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেয়। তখন পরিবারের লোকজন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
রাতে শিশুটির বাবা আব্দুল হানিফ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এরপর আগে রোববার (৫ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে বাহারকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার চরকঁকাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কবুতরের বাড়ীর আজিজুল হকের ছেলে।
আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দি মতে, সকালে খালে মাছ ধরছিলো বাহার। তখন আম কুড়ানো শেষে ঝুমুর খালের পাশ দিয়ে একা যাচ্ছিল। তাকে একা পেয়ে বাহার বাগানে ডুকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঝুমুর চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে খালের মধ্যে মাথা পুঁতে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাহার।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে বাহার। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এইচএ/
** কোম্পানীগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যায় মামলা দায়ের