সোমবার (২৬ আগস্ট) সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির ও সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, গত ২২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা বণ্টনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার কার্যালয়ে যান দৈনিক প্রথম আলোর জাবি প্রতিনিধি মাইদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীফুল ইসলাম সীমান্ত।
সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করার পর এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে বণ্টনের অভিযোগ সম্পর্কে উপাচার্যের বক্তব্য জানতে চান। এ প্রশ্ন করামাত্র উপাচার্য সাংবাদিকদের উপর প্রচণ্ড রেগে যান এবং এমন প্রশ্ন করার সাহস কোথায় পেলে বলে সাংবাদিকদের ধমকাতে থাকেন। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।
নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজই হলো কোনো অনিয়মের খবর পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা। সে হিসেবে সাংবাদিকরা উপাচার্যের কাছে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইতেই পারেন। উপাচার্যের উচিত ছিল সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়া। তথ্যটি সত্য না হলেও উপাচার্য সাংবাদিকদের সেটা জানাতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে হুমকি দিয়েছেন।
উপাচার্যের কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা, সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া নয়। প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলেও তারা মন্তব্য করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এসকেবি/এএ