রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অংশীজনদের নিয়ে এক কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সভা শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একমত হয়েছি পাবলিক পরীক্ষার ফল জিপিএ-৫ থেকে জিপিএ-৪ এ নিয়ে আসবো।
‘জিপিএ-৪ এর ভিত্তিতে ২০২০ সালের জেএসসি এবং ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ’
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জিপিএ-৪ এর ভিত্তিতে দেওয়ার বিষয়ে পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বহির্বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ-৫ না থাকায় এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও জিপিএ-৪-এ ফল প্রকাশ হওয়ায় বিদেশে পড়াশোনা ও চাকরির বাজারে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনেই মূলত গ্রেড পয়েন্ট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০০১ সালে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতি চালু হয়। ৮০-১০০ নম্বরে গ্রেড ৫, ৭০-৭৯ নম্বরে ৪, ৬০-৬৯ নম্বরে ৩.৫০, ৫০-৫৯ নম্বরে ৩, ৪০-৪৯ নম্বরে ২, ৩৩-৩৯ নম্বরে ১ এবং শূন্য থেকে ৩২ নম্বরে গ্রেড পয়েন্ট শূন্য ধরা হয়। লেটার গ্রেডে যথাক্রমে এ প্লাস, এ, এ মাইনাস, বি, সি, ডি এবং এফ গ্রেড। লেটার গ্রেড ১ পেলে পাস এবং এফ গ্রেড পেলে অনুত্তীর্ণ ধরা হয়।
আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব বিষয়ে ৮০ এর উপরে নম্বর পেলে সিজিপিএ-৪, ৭৫-৮০ নম্বরে ৩.৭৫, ৭০-৭৫ নম্বরে ৩.৫০, ৬৫-৭০ নম্বরে ৩.২৫, ৬০-৬৫ নম্বরে ৩, ৫৫-৬০ নম্বরে ২.৭৫, ৫০-৫৫ নম্বরে ২.৫০, ৪৫-৫০ নম্বরে ২.২৫, ৪০-৪৫ নম্বরে ২ এবং ৪০ নম্বরের কম পেলে অনুত্তীর্ণ ধরা হয়। লেটার গ্রেডে যথাক্রমে- এ প্লাস, এ, এ মাইনাস, বি প্লাস, বি, বি মাইনাস, সি প্লাস, সি, ডি এবং এফ গ্রেড।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ