মুলাদীর চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে এই এই টিসি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এসএম জাহাঙ্গীর আলম।
ওই ছাত্রী ২০১৭ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করে ২০১৮ সালে চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ভুয়া অভিযোগ তুলে তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হয়েছে। তার বিদ্যালয় ‘পরিত্যাগের’ কারণ হিসেবে ‘চারিত্রিক অবক্ষয়’ শব্দটি উল্লেখ করায় ওই ছাত্রীকে কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তিও করা যাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারায় ক্ষোভে-দুঃখে ওই ছাত্রী আত্মহত্যারও চেষ্টা চালিয়েছে বলে দাবি তার স্বজনদের। অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুরোধ করলেও তিনি কোনো কর্ণপাত না করায় স্থানীয় নেতৃবর্গকে নিয়ে সেই ছাত্রীর বাবা বিভিন্ন দফতরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
যোগাযোগ করলে চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রীকে ‘চারিত্রিক অবক্ষয়’র সনদ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাড়িতে আছি, বিষয়টি নিয়ে আপনাকে পরে কল দিয়ে জানাবো।
তবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে নানান জায়গায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্তও হয়েছে। ওই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে এক সহপাঠীকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়ায় বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএস/এইচএ/