বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মোট চার শিফটে প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় তিনদিনের এ ভর্তিযুদ্ধ।
সংশ্লিষ্ট ইউনিট সমন্বয়কারী সূত্রে জানা যায়, এ বছর ‘ডি’ ইউনিটে ৫৫০টি আসনের বিপরীতে ২৩ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে।
জানা যায়, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব পাওয়ার পর ভর্তি পরীক্ষায় ত্রুটিমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কিন্তু গত তিন বছরের ভর্তি পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, প্রশ্নফাঁস, প্রশ্নপত্রে অসংগতি, জালিয়াতিসহ বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
কিন্তু এ বছর প্রশ্নপত্রে ছোটখাটো ভুল ছাড়া বড় ধরনের অসঙ্গতি ছাড়াই শেষ হয় ভর্তি পরীক্ষা। তাছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সফল করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইন শৃঙ্খখলা বাহিনীর সহায়তায় আমরা ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, গত তিন দিনের এ ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এবং সম্পূর্ণ ঝামেলা মুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করি, সারাদেশ থেকে আগত সর্বোচ্চ মেধাবিদের ভর্তি করাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএইচ