সোমবার দুপুরে (২৭ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে আক্রান্ত সারাদেশ তথা বিশ্ব।
এই মহামারির সময় যে পাঁচটি সেবা পাওয়া যাবে, তা হলো- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ (ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন, কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সংগ্রহ, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, হারানো জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন ও নতুন ভোটার নিবন্ধন।
এসএমএস:
ভোটার হয়েছেন, কিন্তু এনআইডি পাননি, তাদের এনআইডি নম্বর পেতে প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে NID লিখে স্পেস দিয়ে ভোটার হওয়ার ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ (দিন-মাস-বছর) লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে এনআইডি নম্বর চলে আসবে।
অনলাইনে এনআইডি কপি:
০২ মার্চ ২০২০ তারিখে সর্বশেষ হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় প্রকাশিত ৬৯,৫৮,৩৪১ জন নতুন নিবন্ধিত ভোটার অথবা তার আগে যারা ভোটার হয়েছেন, কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি, তারা তাদের নিবন্ধন ফরম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। পরে বায়োমেট্রিক যাচাই শেষে এনআইডি কপি বা নম্বর পাবেন তারা। তবে দ্বৈত ভোটার হলে এনআইডি কপি বা নম্বর পাওয়া যাবে না।
যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু NID কার্ড পাননি, তারা https://services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ‘অন্যান্য তথ্যের’ ট্যাবে গিয়ে NID নম্বর লিংকে Form নম্বর ও DOB (Date of Birth) দিলে আবেদনকারীর NID নম্বর পাবেন।
যারা NID নম্বর পেয়েছেন, তারা online portal এ NID এর তথ্য ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে online portal এ login করতে পারবেন । login এর পর আবেদনকারী ফরমের এন্ট্রি করা সব ডাটা দেখতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তি যদি আগে কার্ড না পেয়ে থাকেন, তাহলে চাইলে তিনি পোর্টাল থেকে NID copy সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইনে এনএআইডি সংশোধন:
কোনো ব্যক্তি যদি জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেন অথবা সংশোধন করতে চান, তবে তিনি প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করে online এ আবেদন করতে পারবেন। online এ আবেদনকারী NID কার্ডের আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হলে আবেদনকারী sms পাবেন এবং portal থেকে পুনরায় NID copy সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভোটার হতে আবেদন:
যারা এখনও ভোটার হননি, তারা অনলাইনে https://services.nidw.gov.bd এই ঠিকানায় নতুন ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করে রাখতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংশ্লিষ্ট থানা, উপজেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এসে বায়োমেট্রিক দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন। পরবর্তীতে তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
এনআইডি ডিজি বলেন, রমজান মাসে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের হেল্পলাইন সেন্টারে ১০৫ নম্বরে ফোন করে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সেবা পাওয়া যাবে। এছাড়া দেশের ৬৪টি জেলার ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মোবাইল নম্বর online portal এ সংযুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার আবেদন সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপের কারণে প্রথম দফায় গত ১৯ মার্চ থেকে রাজধনীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জাতীয় পরিচয় সেবা বন্ধ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
পরে ২৬ মার্চ থেকে কোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে এর সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় পরিচয় সেবা বন্ধ রাখা হয়।
তবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার কয়েক দফায় জরুরি ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ালেও ছুটির মধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন, তথ্য হালনাগাদের আবেদন ও অনলাইন কপি ডাউনলোডের এই সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
** অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম; নিয়মাবলি
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
ইইউডি/টিএ