জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুল এখন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
কবির বকুলের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রেরণা এ প্রতিবেদন তৈরির কিছুক্ষণ আগে বাংলানিউজকে জানালেন, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার মগবাজারে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি হন তার বাবা।
কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শনিবার রাত সাড়ে আটটায় স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় কবির বকুলকে। এর আধ ঘণ্টার ব্যবধানে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।
কবির বকুলের স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী বাংলানিউজকে জানালেন, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। রক্তক্ষরণজনিত সমস্যাও আছে বলে জানা গেছে। এ দম্পতির সংসারে দুই কন্যা (প্রেরণা ও প্রতীক্ষা) ও এক পুত্রসন্তান (প্রচ্ছদ)। তারা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
১৯৬৬ সালের ২১ নভেম্বর চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন কবির বকুল। কুড়ি বছর বয়স থেকে কবিতা ও গান লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত তিনি। ১৯৮৮ সালে ১৩টি গান লিখে কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরীকে দেন তিনি। সেখান থেকে দুটি গান পৃথক দুটি অ্যালবামে আসে। এর মধ্যে ‘কাল সারারাত তোমারই কাঁকন যেন মনে মনে রিনিঝিনি বেজেছে’ গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। আর ‘পথে যেতে যেতে খুঁজেছি তোমায়’ কণ্ঠে তোলেন নাসিম আলী খান।
১৯৯৪ সালে ‘অগ্নি সন্তান’ চলচ্চিত্রে প্রথম গান লেখেন কবির বকুল। এখন পর্যন্ত তিনি আটশ’রও বেশি চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় তালিকায় আছে ‘যায় দিন যায় একাকী’, ‘কেউ প্রেম করে কেউ প্রেমে পড়ে’, ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে’, ‘তোমারে দেখিলো পরানো ভরিয়া’, ‘একটা চাঁদ ছাড়া রাত আঁধার কালো’, ‘ও প্রিয় আমি তোমার হতে চাই’, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো জানো না’, ‘বলো না কেনো ওই আকাশ নেমে আসে’, ‘তোমার জন্য এক কাপ চা’ ইত্যাদি।
চলচ্চিত্র ও অডিও অ্যালবাম মিলিয়ে কবির বকুলের লেখা গানের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। অডিও অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে ‘কেনো এই নিঃসঙ্গতা’, ‘ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর’, ‘পৃথিবীর মতো হৃদয়টাকে’, ‘আমার এক নয়ন তো দেখে নারে’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
জেএইচ