ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

মঞ্চে নিলয় দাসকে স্মরণ করলেন বাচ্চু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
মঞ্চে নিলয় দাসকে স্মরণ করলেন বাচ্চু নিলয় দাস ও আইয়ুব বাচ্চু (ছবি: সংগৃহীত)

‘নিলয় দাস আসলে গিটার বাদক নয়, সত্যিকার অর্থে এক গিটার সাধক’— মূল্যায়নটি করেছিলেন ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। সেই কিংবদন্তি গিটারিস্টকে স্মরণ করলেন আরেক তারকা আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার (২৪ মার্চ) কেআইবি মিলনায়তনে নিজের একক গিটার শোতে হলভর্তি দর্শকের সামনে অকাল প্রয়াত বন্ধুকে স্মরণ করলেন বাচ্চু।  

‘আমি আজকে খুব খুশি হতাম যদি আমার পাশে বন্ধু থাকতো, নিলয়, তাহলে হয়তো আপনারা আরেকটু কিছু দেখতে পেতেন। …ওর মতো করে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আর কেউ গিটার বাজাতে পারে না।

হি ইজ দি ওয়ান অ্যান্ড অনলি নিউ ক্লাসিক্যাল গিটারিস্ট, গিটার প্লেয়ার। আনফরচুনেটলি বাংলাদেশ ওকে হারিয়েছে বা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ওর অভিমান থেকে ও চলে গেছে—’ বেশ কিছুক্ষণ গিটার জাদু দেখানোর পর এমন আবেগঘণ বক্তব্য দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। একইসঙ্গে স্মরণ করলেন সংগীতশিল্পী হ্যাপি আখন্দকে।

‘বাংলাফ্লিক্স প্রেজেন্টস সাউন্ড অব সাইলেন্স’-এর মঞ্চে নতুন প্রজন্মের বাজিয়েদের উৎসাহ দিয়ে বাচ্চু বলেন, ‘যারা মিউজিক শিখতে চাইছেন, ইউটিউবে যান, দেখে নেন কিভাবে নিউ ক্ল্যাসিক্যাল বাজাতে হয়। আপনাদের দেখে যেন নিলয়কে বারবার মনে করতে হয়। …ও অদ্ভুত স্টাইলে গিটার বাজাতো। আমি ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারবো না, কীভাবে সেটা। হি ওয়াজ মিরাকল। হ্যাপি (আখন্দ) ওয়ান এনাদার জিনিয়াস। ’

এরপর বাচ্চু যোগ করে বলেন, ‘এগুলো (নিলয় ও হ্যাপি) বাংলাদেশে আর আসবেনা, শেষ। এগুলো সব চলে গেছে। আর আমরাও কেউ কেউ যাওয়ার পথে…’।

আইয়ুব বাচ্চুর বক্তব্যের শেষ অংশটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন ভক্তরা। প্রিয় শিল্পীর মুখে চির বিদায়ের ঈঙ্গিত তারা মানতে পারেননি। দর্শক সারি থেকে ‘নো নো এবি’ স্বর এসে পৌঁছে বাচ্চুর কানে। তিনি বিষয়টিকে রসিকতায় ঢেকে দিলেন বাংলাদেশি ছবির একটি চিরচেনা সংলাপ দিয়ে। বাচ্চু বললেন, ‘নো নো! ছেড়ে দে শয়তান, ছেড়ে দে। ’ এরপরই তিনি জিমি হেনড্রিক্সের গানে ঢুকে পড়লেন জনপ্রিয় এই রকতারকা। মুহুর্তের মধ্যে গিটারমন্ত্রে দর্শক-শ্রোতাদের আবারও ভাসালেন সুরের খেয়ায়।  

দুই ঘণ্টার আয়োজনে বাচ্চু গিটার বাজিয়েছেন চেনা-অচেনা সুরে। কোনো বিরতি ছিলোনা এর মধ্যে। খুব অল্প করে কথা বলেছেন দু’ তিনবার। এর মধ্যে তিনি একটি বাক্য উচ্চারণ করেছেন কয়েকবার। সেটি হলো, ‘আমার জীবন স্বার্থক হলো’।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এসও 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।