বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তিনটি প্যানেলেই এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন যাদের পর্দানাম জানেন না সাধারণ দর্শক। সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য— এমন সব গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য লড়ছেন তারা।
প্রার্থীদের কাউকে কাউকে ‘চেনা মুখ’ মনে হতে পারে। কিন্তু তারা প্রথম সারির কেউ নন বা উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রেও কাজ করেননি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিম্নরূচির চলচ্চিত্রগুলোরই প্রতিনিধিত্ব করেন এসব ‘শিল্পী’। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, চলচ্চিত্র কিংবা শিল্পীদের উন্নয়নে এই নামধারী ‘শিল্পী’রা কতোটা যোগ্য? কেনই বা তিনটি প্যানেলেই তাদের আধিক্য?
৫ মে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতেই মিলেছে এমন ‘অশিল্পী’দের চিত্র। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশে করেছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর, ওমর সানি ও ড্যানি সিডাক। দুটি সহ-সভাপতি পদে বিপরীতে লড়ছেন ছয়জন। তারা হলেন নূতন, নাদির খান, রিয়াজ, সাংকোপাঞ্জা ও অমৃতা খান। সাধারণ সম্পাদক পদ একটি, লড়ছেন অমিত হাসান, ইলিয়াস কোবরা ও জায়েদ খান। একটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন তিনজন। প্রার্থীরা হলেন চিত্রনায়িকা একা, রিনা খান ও সুব্রত।
এ ছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে একটি পদের বিপরীতে মাঠে নেমেছেন তিনজন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে একটি পদের বিপরীতে আছেন তিনজন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে একটি পদের বিপরীতে চারজন, কোষাধ্যক্ষ পদের বিপরীতে তিনজন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য হিসেবে ১১টি পদের বিপরীতে ২৮জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার ৬২৩ জন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররাও রয়েছে উৎকণ্ঠায়। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে ৫ মে (প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর। ২৩ এপ্রিল এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি সবশেষ শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাকিব খান সভাপতি ও অমিত হাসান সাধারণ সম্পাদক হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসও