নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘আমি যতোদুর শুনেছি, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ’
নায়করাজের মরদেহ এখন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে।
রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিক বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। দেশ-বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো তাকে। কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এফডিসি তথা সংস্কৃতি অঙ্গনে।
রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতি পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। নাটক ‘বিদ্রোহী’তে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয় শুরু।
রাজ্জাক ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।
পরে ‘কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’সহ আরও কিছু ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে হাজির হন সদর্পে। প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। তার দুই পুত্র বাপ্পারাজ ও সম্রাট চলচ্চিত্র অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। নায়করাজ ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে সুখী ছিলেন, যেমনটি এ কালের নায়কদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এসও