বুধবার (১৫ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র অনুমোদন বোর্ডকে (সিবিএফকে) ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতেও আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘পদ্মাবতীর মুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে জনতার অভিমত বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে। ’
দীর্ঘ ৭০০ বছর আগের সময়ের চিতোরের রানি পদ্মিনীর জীবন নিয়ে বিগ বাজেটে এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ‘দেবদাস’ ও ‘বাজিরাও মাস্তানি’ খ্যাত পরিচালক বানসালী।
আগামী ১ ডিসেম্বর ইতিহাসভিত্তিক চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ করছে নানা ধর্মীয় সংগঠন। নানা জায়গায় বিক্ষোভে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারাও।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দিল্লির শাসক আলাউদ্দিন খিলজির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রানি পদ্মিনী ১৬ হাজার নারীকে নিয়ে চিতায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু পদ্মাবতী সিনেমায় তার সে মর্যাদা ও আত্মত্যাগকে খাটো করা হয়েছে। খিলজির সঙ্গে পদ্মিনীর মুখোমুখি কখনো দেখা না হলেও চলচ্চিত্রের গল্পে তাদের মধ্যে একটি স্বপ্নদৃশ্য রাখা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, গুজরাটে বিধানসভার ভোট ও উত্তর প্রদেশে পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় ভোট বাগে রাখতে এই বিক্ষোভে সমর্থন যোগাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও চলচ্চিত্রের পক্ষে সাফাই গেয়ে আসছেন বানসালীসহ চলচ্চিত্রের কলা-কুশলী ও শুভানুধ্যায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এইচএ/