এই উৎসবে উপস্থিত হন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা। তার উপস্থিতিতে ডি লা গ্যালারি হলরুমটি কানায় কানায় ভরে উঠে।
তাই উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের নিরাশ করেননি হৈমন্তী। চমৎকার কিছু গানের মাধ্যমে উপহার দিলেন মনোমুগ্ধ পরিবেশনা।
অবশ্য উৎসবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই উপস্থিত হন হৈমন্তী। এরপর সবার উপস্থিতিতেই ‘জোছনায় বেসামাল’ সিডি অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর শুরু হয় গান। প্রথমে গান পরিবেশন করেন শিল্পী মঞ্জুরুল ইসলাম। বিখ্যাত কিছু গজল সঙ্গীত ছাড়াও তিনি নিজের নতুন অ্যালবামের গান গেয়ে শোনান।
এরপর মঞ্চে ওঠেন হৈমন্তী শুক্লা। গুণী এই শিল্পী মঞ্চে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিতিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
মঞ্চে এসে উপস্থিতি এবং অ্যালবাম সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ-শুভকামনা জানিয়ে গান শুরু করেন হৈমন্তী। হারমোনিয়ামে হাত রেখে একে একে গাইতে থাকেন- ‘ঠিকানা না রেখে ভালোই করেছো বন্ধু’ ‘আমার বলার কিছু ছিলো না’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’র মতো বিখ্যাত গানগুলো। তার গাওয়া শেষে দর্শক-শ্রোতারা দীর্ঘ করতালির মাধ্যমে হৈমন্তীকে বাহবা জানান।
মনজুরুল আলমের ‘জোছনায় বেসামাল’ শিরোনামের অ্যালবামে গান রয়েছে ৬টি। এগুলো হচ্ছে- ‘এমনও তো হতে পারে’, ‘এমন কি আর ভালো বাসলাম’, ‘কত মন জ্বলে পুড়ে’, ‘আমি হাওয়াতে মাতাল’, ‘মাঝরাতে মাঝে মাঝে’ এবং ‘আজতো বৃষ্টি ঝরলো’।
এর মধ্যে প্রথম চারটি গান লিখেছেন শহীদুল্লাহ ফরায়েজী। বাকী দুটি গান লিখেছেন শাহরিয়ার পিউ। অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজন করেছেন কলকাতার সঙ্গীতপরিচালক তন্ময় চ্যাটার্জী (বাপ্পা চ্যাটার্জী) ও পিটু নন্দী। গানগুলো সুর করেছেন ইসহাক মিয়া, সঞ্জয় চক্রবর্তী, মনজুরুল ইসলাম খান। অ্যালবামটি প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
ওএফবি