শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এমনই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ডুবে ছিল হাজারে পর্যটক।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করে দু’দিনের সাংস্কৃতিক উৎসব।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজনে ছিল সংগীত, নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক শো, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং পারফরম্যান্স আর্টসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত।
এতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ শতাধিক শিল্পী অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত আলী বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সমৃদ্ধি লাভ করেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনও।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন কেন্দ্রিক একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কক্সবাজার। শিল্প-সংস্কৃতির যে চর্চা এখানে চলছে, তা আরও বেগবান এবং প্রসারের লক্ষ্যেই মূলত এ আয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সংস্কৃতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক বান্ধব সরকার।
তিনি বলেন, আগের তুলনায় এই অঙ্গনের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে শিল্পীদের সম্মান ও কদর বেড়েছে। শিল্পীরা দেশের শিল্পাঙ্গনের অহংকার। সৈকতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন শুধু পর্যটকদের বিনোদন নয় এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব বদরুল আলম, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আদিবুল ইসলাম আদিব।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) শেষ হবে দুইদিন ব্যাপী এ উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
জেআইএম