ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

বিনোদন

অ্যাকশন উপহার দিতে ভালোবাসি: টাইগার শ্রফ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
অ্যাকশন উপহার দিতে ভালোবাসি: টাইগার শ্রফ ‘বাঘি থ্রি’ সিনেমার দৃশ্যে টাইগার শ্রফ

বলিউডে ইতোমধ্যে ‘অ্যাকশন হিরো’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন টাইগার শ্রফ। অ্যাকশন ঘিরেই তার ভালোলাগা-ভালোবাসা। গত বছর ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে ব্লকবাস্টার ‘ওয়ার’র পর আবারও দুর্দান্ত অ্যাকশন নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৬ মার্চ) বিশ্বজুড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল টাইগার অভিনীত ‘বাঘি থ্রি’।

‘বাঘি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটি সিনেমাই দারুণ সফল। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাকশন নিয়ে ‘বাঘি থ্রি’ আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রথম দিনেই সিনেমাটি আয় করতে পারে প্রায় ২০ কোটি রুপি।

‘বাঘি থ্রি’ পোস্টার

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান একপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘বাঘি থ্রি’ ঘিরে কথা বলেছেন টাইগার শ্রফ। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।  

‘বাঘি থ্রি’ ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি একেবারেই অ্যাকশন থ্রিলার। কিন্তু দুই ভাইয়ের ভালোবাসার শক্ত বাঁধনও দেখা গেছে। সিনেমাটির মূল চালিকা শক্তি কোনটি?

সিনেমাটির মূল চালিকা শক্তি হলো পরিবারের অনুভূতি – দুই ভাইয়ের বন্ধন। শুধু তাই নয়, সেখানে আরও অনেক সম্পর্ক ও আবেগ রয়েছে। শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে রিতেশ দেশমুখের পাঠ এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে আমার রসায়নটাও দারুণ। পরিবার ও আপনজনের সঙ্গে থাকার আবেগ ঘিরেই গড়ে উঠেছে ‘বাঘি থ্রি’।

‘বাঘি’ সিনেমার পর আপনি ও শ্রদ্ধা কাপুর আবারও একসঙ্গে কাজ করলেন। দিশা পাটানির সঙ্গে ‘বাঘি টু’ করার পর শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘বাঘি থ্রি’ করতে কেমন লেগেছে?

একসঙ্গে কাজ করি আর না করি শ্রদ্ধার সঙ্গে আমি সবসময়ই যুক্ত থাকি। ওর সঙ্গে আমার শেকড়ের সম্পর্ক, আমরা একসঙ্গেই বড় হয়েছি। যখনই সে সাফল্য পায়, আমি তার জন্য গর্ব অনুভব করি। মনে হয়, এটা আমারই সাফল্য। তার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে শুটিং সেটে ও সেটের বাইরে আমাদের সবচেয়ে ভালো সময় কাটে। আমাদের সামর্থ্য একেবারেই সমান। তাই দারুণভাবে আমরা মিশতে পারি। তার সঙ্গে থাকলে মনে হয় না যেন কাজ করছি।  

‘বাঘি থ্রি’ পোস্টার

ভারতের ‘অ্যাকশন তারকা’ হিসেবে আপনাকে ডাকা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?

আমার জন্য এটা আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ, ছোটবেলা থেকেই আমি মারকুটে নায়কদের অনুসরণ করতাম। আমি তাদের মতো হতে চাইতাম। তাই বর্তমানে মানুষ যখন আমাকে অ্যাকশন তারকা বিবেচনা করেন, তখন সত্যিই আমি ভাগ্যবান মনে করি।

একজন অভিনেতা হিসেবে আপনার বহুমুখিতা বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।

ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ। দর্শকদের কথা সবসময় মাথায় রেখেই আমি কাজ করি। তাদের ভালো কিছু উপহার দিতেই চেষ্টা করি। এখন পর্যন্ত আমি যা কিছু অর্জন করেছি তা শুধু তাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমি তাদের প্রতিদান দিতে চাই, আর আমি অ্যাকশন উপহার দিতেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার পা দু’টো অবসর না নেওয়া পর্যন্ত আমি এটাই করতে থাকব।  

‘বাঘি থ্রি’ সিনেমার বিশেষত্ব কী?

আমার কাছে ‘বাঘি থ্রি’ একটি পারিবারিক বিনোদনমূলক সিনেমা। এতে অ্যাকশন, হাস্যরস, রোমাঞ্চ, তীব্র আবেগ ও শক্ত বন্ধনের সম্পর্ক আছে। পারিবারিক বন্ধনের গল্প এটা। দারুণ আকর্ষণীয় কিছু চরিত্র আছে এখানে এবং প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সিনেমাটি সকল শ্রেণির সকল মানুষেরই মনোরঞ্জন করবে। ভিন্ন ঘরানার ও শ্রেণিভিত্তিক মানুষের জন্য সিনেমাকে সীমাবদ্ধ করা আমি পছন্দ করি না। ‘বাঘি থ্রি’ সিনেমাটি সবার জন্যই।

‘বাঘি থ্রি’ ট্রেলার:

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।