শুক্রবার (১ মে) সাভারের হেমায়েতপুরে এজিআই গ্রুপের একটি কারখানার সামনে কাজে আনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন কারখানাটির শ্রমিকেরা। এসময় ঢাকা-মানিকগঞ্জ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।
তবে এবিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা না বললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন অনন্ত জলিল। সেখানে অনন্ত জলিল দাবি করেন, জোর করে নয় বরং শ্রমিকেরা নিজ ইচ্ছায় কর্মস্থলে আসেন। আর যারা এসময় দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে ৪ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে দেওয়া হবে ৮ ঘণ্টার বেতন।
পিপিই এবং মাস্ক প্রস্তুতের জন্য শ্রমিকদের স্বেচ্ছায় কাজে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন অনন্ত জলিল। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আপনারা সবাই আমার সম্পর্কে জানেন যে আমি নিঃস্বার্থভাবে বিভিন্ন জায়গায় সাহায্য সহযোগিতা করি। বর্তমানে সব জায়গায় এই করোনার মহামারীতে পিপিই এবং মাস্ক এর দুষ্প্রাপ্যতা। বিশেষ করে যারা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত তাদের এখন অত্যন্ত জরুরি পিপিই এবং মাস্ক। তাই কস্টিং প্রাইজের কমে আমার ফ্যাক্টরি থেকে আমি পিপিই এবং মাস্ক তৈরির অর্ডার নেই। গতকালকেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ছিল যে আজকে পহেলা মে শ্রমিক দিবস ছুটির দিনে যারা ৪ ঘণ্টা ডিউটি করবে তারা ৮ ঘণ্টার বেতন পাবে। কারণ এই সময় মাস্ক ও পিপিই বানানো অত্যন্ত জরুরি।
মানবতার এই কাজে এগিয়ে আসতে চায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন কর্মচারী। শুধুমাত্র তারাই আজকে সকাল থেকে ডিউটি শুরু করে। এগারোটার সময় কিছু বহিরাগত মানুষ কিছু সাংবাদিক নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা শুরু করার চেষ্টা করে। তাই আমরা তিন ঘণ্টা পরেই ছুটি ঘোষণা করি।
আজকে মহান মে দিবস শ্রমিক দিবস। বিগত ২২-২৩ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছি। এই ২২-২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় অবশ্যই ন্যূনতম জ্ঞান তো আমার আছে যে শ্রমিক দিবসে অবশ্যই ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখা হয় ।
যে কয়জন আজকে এই পিপিই ও মাস্ক বানাতে এসেছিল তারা সবাই নিজ ইচ্ছাই এসেছিল এবং তাদেরকে ৪ ঘণ্টা ডিউটিতে ৮ ঘণ্টার পারিশ্রমিক দেওয়ার শর্তে আনা হয়েছিল। এবং তাদেরকে আমার ফ্যাক্টরিতে গাড়ি দিয়ে আনানো হয়েছিল এবং গাড়িতে করেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সুতরাং এটা সত্য যে আজকে ফ্যাক্টরি খোলা হয়েছিল এবং যারা আজকে কাজে এসেছিল তারা এসেছিল মাস্ক ও পিপিই বানানোর জন্যই।
পুরো বিষয়টিকে একটি কুচক্রী মহল নিজের নাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টায় করছেন বলেও অভিযোগ করেন অনন্ত জলিল। তিনি লেখেন, করোনার এই মহামারীতে আজকের ছুটি টা পেয়ে সবাইকে ঘরেই বসে থাকতে হত, যেহেতু সব জায়গায় লকডাউন। সেখানে চার ঘণ্টার কাজ করে ডাবল টাকা পাওয়ার ঘোষণা শুনে আনন্দের সহিত তারা আজকে ফ্যাক্টরিতে আসার সম্মতি জানায়।
আর বিক্ষোভ করলে তো ফ্যাক্টরিতে ঢোকার আগে আগেই করত, সেখানে ৩ ঘণ্টা ডিউটি শেষ হওয়ার পর বিক্ষোভের কথা খবরে লেখা হয়েছে। সুতরাং আপনারা স্পষ্ট বুঝতেই পারছেন কিছু কুচক্রী মহল আমার নাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য আজকের ঘটনাটি সাজিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এসএইচএস/জেআইএম