শুক্রবার (২৫ বৈশাখ/৮ মে) কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী। কিন্তু করোনা আতঙ্ক থমকে দিলো এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব।
এদিন সকাল থেকেই উপাসনা মন্দিরের সামনের রাস্তায় অধিক সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। যাতায়াতের ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কোনো সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান না হলেও উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ক্যাম্পাসে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের চেয়ারে মাল্যদান করবেন। নমঃ নমঃ করেই এবার কবি-প্রণাম সারবে বিশ্বভারতী। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ পড়ুয়াদের। গোটা বছর ধরে এই দিনটার প্রতীক্ষায় থাকে তারা। কত চর্চা, কত আয়োজন-করোনার জেরে সবই বিফলে। তাই মন ভারাক্রান্ত।
১৯১০ সালে রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা শুরু হয়েছিল। পরের বছর বিশ্বকবির পঞ্চশতম জন্মবর্ষ ঘটা করে পালিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেসময় শান্তিনিকেতনে গ্রীষ্মের প্রচুর দাবদাহ থাকায়, রবীন্দ্রনাথ ঠিক করেছিলেন ২৫ বৈশাখের পরিবর্তনে ১লা বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হবে।
তারপর থেকে তেমনই রীতি ছিল সেখানে। যদিও সুজিত বসু উপাচার্য থাকাকালীন নিয়ম বদলায়। ১লা বৈশাখও অনুষ্ঠান হয় ঠিকই, কিন্তু ২৫ বৈশাখই ঘটা করে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা শুরু হয়।
এ বছর যেন এক অন্য ২৫ বৈশাখ। শান্তিনিকেতনে আনাচে-কানাচে আজ ধ্বনিত হচ্ছে না কবিগুরুর গান। চতুর্দিক খাঁ-খাঁ করেছে। করোনা ঘিরে সর্বত্রই সতর্কতা। তবে আগামি বছর চিত্রটা পাল্টাবে- এই প্রত্যাশাই রবীন্দ্র-অনুরাগীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
ওএফবি