রোববার (৩১ মে) দুপুরে তিনি জানিয়েছেন, তিনি এখন বেশ ভালো আছেন। তিনি বলেন, আমার মেয়েরা খুব চিন্তিত।
সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ২৬ মে রাতে। শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হওয়ায় কলাবাগানের বাসা থেকে প্রথমে রাজধানীর দু'টি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হলে উপসর্গ থাকায় ভর্তি না করিয়ে দু'টি হাসপাতাল ফেরত দেয়।
পরে স্বজনরা ওই রাতেই কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক ঘণ্টা অক্সিজেন দিয়ে রাখার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সেখানে একরাত থেকে পরেরদিন দুপুরে করোনার নমুনা দিয়ে শিল্পীকে বাসায় নেওয়া হয়।
এর আগে ২৭ মে শিল্পীর মেয়ে রূপ মঞ্জুরী শ্যাম বলেন, 'যেহেতু চিকিৎসকেরা সাসপেক্ট করছেন যে করোনা, সেহেতু নমুনা নেওয়া হয়েছে বাবার শরীর থেকে। এরপর বোঝা যাবে আসলে তিনি কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত কি না। শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে করোনা পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। এরপর কলাবাগানের বাড়ি থেকে তাকে ফের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দেশের চলচ্চিত্রের গানে অসাধারণ অবদান রেখে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে এ পর্যন্ত ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন সুজেয় শ্যাম। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত তার সুর করা গানগুলোর মধ্যে ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’, ‘আজ রণ সাজে বাজিয়ে বিষাণ’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘ওরে আয়রে তোরা শোন’, ‘আয়রে চাষী মজুর কুলি’, ‘রক্ত চাই, রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার’ উল্লেখযোগ্য।
সুজেয় শ্যাম ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে সঙ্গীত পরিচালক রাজা হোসেনের সাথে পরিচিত হন এবং একত্রে রাজা-শ্যাম নামে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা শুরু করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি ৩বার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সংগীতজ্ঞ সুজেয় শ্যাম
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এমকেআর