ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

ফিচার

ভূস্বর্গ কাশ্মীরের হাতছানি

লিয়াকত হোসেন খোকন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১২
ভূস্বর্গ কাশ্মীরের হাতছানি

শৈশবকালে দেখেছিলাম ‘বরসাত’ ছবি। ওই ছবিতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখানো হয়েছিল ভূস্বর্গ কাশ্মীরের নানা মনোরম দৃশ্য।

লতা মুঙ্গেশকারের গাওয়া ‘হাওয়া মে উড়তা যায়ে মেরা লাল দোপাট্টা মলমল কা জি মেরা...’  গানের দৃশ্যে নায়িকা নিম্মিকে পাহাড়ি এলাকায় দোপাট্টা উড়িয়ে নাচতে দেখা গিয়েছিল।

সেই দৃশ্য দেখে অনেক দর্শক কাশ্মীরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। আমার কাশ্মীরের প্রতি দুর্বলতা জেগেছিল শৈশবেই। একটি পুস্তিকায় নাগিন লেকে হাউজবোট, আরেক দিকে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখে ভাবলাম, এ যে ভূস্বর্গ।

আহা, ওখানে কীভাবে যাওয়া যায়! কাশ্মীর দেখব এটা  ছিল বহুদিনের স্বপ্ন। যা এ জীবনে পূরণ হয়েছিল দু’বার। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র মাহবুব মোর্শেদের সঙ্গে পরিচয় ছিল আগেই। বললাম, কাশ্মীর দেখতে যাব, যাবে নাকি! কথাটা শুনে উৎফুল্ল হয়ে ‘ট্রেনে সরাসরি জম্মু গিয়ে দুই রাত থাকার পর না হয় যাব কাশ্মীরের শ্রীনগরে।  

কলকাতা থেকে ‘জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে’ উঠলাম। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ল। তৃতীয় দিন সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে পৌঁছলাম জম্মু রেল স্টেশনে। কলকাতার হাওড়া থেকে জম্মুর দূরত্ব ২ হাজার ৩৩ কিলোমিটার।

দু’রাত জম্মুতে থেকেছিলাম বেশ সুন্দর পরিচ্ছন্ন এক হোটেলে। নাম ‘পাঞ্জাবি হোটেল’। শহরে বের হতেই প্রথমে চোখে পড়ল এককালের সাড়া জাগানো নায়ক-গায়ক কুন্দনলাল সায়গলের ভাস্কর্য।
এ শহরেই সায়গলের জন্ম। সিডির দোকানে থরে থরে সাজানো রয়েছে তার গানের সিডি। কুন্দনলাল সায়গল একাডেমিতে ঢুকতেই কানে ভেসে এলো ‘দুনিয়া রঙ্গরঙ্গিলা বাবা’ গানের কথাগুলো।

ওখানে পরিচয় হলো এক বৃদ্ধের সঙ্গে। তিনি পাঞ্জাবি ভাষায় যে কথাগুলো বলেছিলেন, বাংলা ভাষায় তা হলো ‘আজকের ওয়ান হিট ওয়ান্ডারদের অহঙ্কারী আচরণের যুগে বসে শিল্পী কুন্দনলাল সায়গলকে বোঝা সহজ নয়। সায়গলের প্রথম বেসিক গানের রেকর্ডই বিক্রি হয়েছিল পাঁচ লাখেরও বেশি।

সায়গলের কণ্ঠ শরীরে ছড়ানো পারফিউমের মতো শ্রোতাকে অনুসরণ করে এবং স্মৃতিকে সরীসৃপের মতো পাকে পাকে জড়িয়ে রাখে. . .। ’ কথাগুলো আমাদের বেশ আনন্দই দিয়েছিল। এবার এলাম তাওয়াই নদীর অপর পাড়ে পাহাড়ের মাথায় ঐতিহাসিক বাহু দুর্গ দেখতে।

ওখানে পরিচয় হয় এক গাইডের সঙ্গে। কথায় কথায় তিনি জানালেন, সুদূর বাংলা থেকে এসেছেন, তা শুধু শ্রীনগরই দেখবেন না। এ কাশ্মীরে আছে ২২টি জেলা। সম্ভব হলে ২২ জেলা দেখে ফিরবেন। সবদিকেই মনভোলানো রূপ।
কাশ্মীরের ২২ জেলা হলো ‘জম্মু, উধমপুর, দোদা, রাজৌরি, ফুলয়ামা, পুঞ্জ, বদগাম, অনন্তনাগ, বারামুলা, শ্রীনগর, কুপওয়ারা, কাথুয়া, পহেলগাঁও, লেহ, কারগিল, চিলাস, বালচিত, গিলগিট, সুতাক, চুশুল, লানকলা, খাপালু।

এই রাজ্যে শহরের সংখ্যা ৭৫টি। গ্রামের সংখ্যা ৬ হাজার ৪১৭টি। গ্রীষ্মকালে এখানে রাজধানী হয় শ্রীনগরে, আর শীত শুরু হতে না হতেই রাজধানী হয়ে যায় জম্মু।

এক সন্ধ্যায় শ্রীনগরের বাসে উঠলাম। জম্মু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরবর্তী শ্রীনগরে পৌঁছতে প্রায় ১২ ঘণ্টা লেগে গেল। রাতে বাস ২০ মিনিটের জন্য রেখেছিল পাটনিটপে। এখানে এক রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া সারলাম। মাহবুব কথায় কথায় বলল, এই পাটনিটপের প্রধান আকর্ষণ পাইনবন শোভিত ঢেউখেলানো সবুজ তৃণভূমি। তখন জোছনা রাত। মনে হলো, পাইনের হালকা মিষ্টি গন্ধে ভরা ঠা-া বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আহা, এমন জায়গায় কী আর কোনোদিন আসব!

সকাল ৭টায় গিয়ে পৌঁছলাম শ্রীনগরে। ঝিলাম নদীর দুই তীরে বিস্তৃত কাশ্মীর উপত্যকার প্রধান শহর এই শ্রীনগর। আগেই শুনেছিলাম, এখানে নগর প্রতিষ্ঠিত হয় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে- খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে।
চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং  শ্রীনগরে এসেছিলেন ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে। ঝিলাম নদীর তীরে এসে দেখি কত না হাউজবোট। আলাপ করে জানতে পারলাম, হাউজবোটে দ্বিশয্যার ঘরভাড়া ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।

‘ডি’ ক্লাসের ভাড়া ৫০০ টাকা। সেখানেই আমাদের লাগেজ নিয়ে ঢুকলাম। দুই দিন কাটালাম হাউজবোটে। এটি কখনও যায় ডাল লেকে, কখনওবা নাগিন লেকে। দু’নয়ন ভরে দেখে যাচ্ছি কাশ্মীরের স্বর্গীয় রূপ। ভাগ্যিস, হাউজবোটের মালিকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।

তার নাম আকবর আলী খান। তিনি জানালেন, ১৫৮৫ থেকে ১৮২৯ মিটার উচ্চতায় ভূস্বর্গ কাশ্মীর। দেখুন ওই যে চারপাশে হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গরাজি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এই কাশ্মীরেরই উত্তর-পূর্বে লাদাখকে দেয়াল করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বরফে ঢাকা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উঁচু নালা পর্বত।

পীরপাঞ্জাল গিরি শ্রেণী থেকেই সমতল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর। তিনি আরও জানালেন, ১৩ শতকের শেষভাগে তিব্বত থেকে এসে এখানে রাজ্য গড়েন তিব্বতীয় মুসলিম রাজকুমার। ১৩৩৮ সালে রাজকুমারের মৃত্যুতে শাহ মীর রাজা হলে পত্তন হয় সুলতান বংশের। এ বংশেরই অষ্টম রাজা জয়নুল আবেদিন রাজা নামটি বাদ দিয়ে করলেন ‘বাদশা’।

তার পর তো বাদশা জয়নুল আবেদিন নামে খ্যাত হলেন তিনি। শিল্প ও সংস্কৃতির পূজারি ছিলেন তিনি। কাশ্মীরী হস্তশিল্পের জনকও তিনি। পারস্য এবং সমরখন্দ থেকে শিল্পী এনে তিনি সূচনা করান শাল, কার্পেটসহ দারুণ ধাতুর নানা সম্ভারের।

শ্রীনগরে থেকে একে একে দেখে নিলাম ডাল লেক, নেহেরু পার্ক, চার মিনার, কবুতর খানা, হরি পর্বত, হরওয়ান, গাগরিবাল পার্ক, চশমাশাহি, নিশাতবাগ, শালিমার বাগ, নাসিমবাগ, হজরতবাল মসজিদ, মিউজিয়াম, শাহ হামদান মসজিদ, জুমা মসজিদ।

ডাল লেককে বার বার দেখেও মন ভরেনি। শ্রীনগরের রিসেপশন সেন্টার থেকে আধা মাইল পূর্বে কাশ্মীর সুন্দরী ডাল-গাগরিবাল, লাকুতি ডাল, বড়াডাল- এই তিনের সমন্বয়ে ডাল লেক।

নাগিন ও ডালের অংশ বিশেষ। আমরা গিয়েছিলাম আগস্টে। তখন ডালের জলে পদ্মের সঙ্গে ওয়াটার লিলি ফুল দেখেছিলাম। কী তার শোভা সে দৃশ্য কী ভোলার! এখানে সংযোগ ঘটেছে ঘুরে ফিরে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ খালপথে ঝিলামের সঙ্গে ডালের।

আকার যেন দ্বীপের মতো। পসরা সাজিয়ে তরতর করে ছুটে চলেছে শিকারা বেয়ে দোকানি। এ দৃশ্যও ভুলবার নয়। রাত ২টা বেজে গেছে। মাহবুব আমাকে জাগিয়ে বলল, ‘দেখুন, ওই যে চাঁদের আলোও আগুন ধরায় ডালের জলে। ’

দেখে তো অবাক! এ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে বার বার মনে পড়ছিল, ‘তুমি হও চান্দের বন্ধু আমি গাঙের পানি/জোয়ারে ভাটাতে হবে নিতুই জানা জানি রে. . .’ গানের কথাগুলো।

বিকাল হলেই আমরা খেতাম আলু-পরাটা। রাতে পরাটার সঙ্গে সবজিই খেয়েছি। ভাত খেতাম শুধু দুপুরে। লালচক এলাকা শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্রে। কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়ার জন্য বেশ একটা আদর্শ জায়গা লালচক।

এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে দেখলাম, লেখা আছে শ্রীনগর থেকে দূরত্ব জম্মু শহর ২৯৩ কিলোমিটার, জম্মু রেলস্টেশন ৩০৩, দিল্লি ৮৭৬, লেহ ৪৩৪, গুলমার্গ ৪৬, পহেলগাঁও ৯৪, অমরনাথ ১৪২, কাটরা ২৮৫ কিলোমিটার।
মাহবুব বলল, লাদাখের লেহ শহরে গেলে ভালো লাগবে। লেহ জেলা শহর। শ্রীনগর থেকে ৪৩৪ কিলোমিটার দূরে কারাকোরাম পর্বতে ৩ হাজার ৫২১ মিটার উঁচুতে এই ‘লেহ’ শহর। চিত্ত বিমোহিত প্রকৃতির মাঝে ঘোড়ার পায়ের মতো ছোট্ট এক ওয়েসিস লেহ। এ শহরের চারপাশ ঘিরে রয়েছে পাহাড়. . .।

কথাগুলো শুনে মুগ্ধ না হয়ে কী আর পারা যায়! মনে হলো, না জানি কত রূপসী লেহ শহর। আবারও মাহবুব বলল, লেহ শহরে পাহাড়ের গায়ে ঘন ঘন মৌচাকের মতোই পাথরে তৈরি ঘরবাড়ি। মূল রাস্তার দু’পাশে দোকানপাট, গলি-ঘুপচি, লাদাখি যুবতীরা পসরা সাজিয়ে বসে থাকে ওখানে...। বললাম, ‘আগামী দিনই লেহ শহরে যাব। ’

শ্রীনগর ট্যুরিস্ট রিসেপশন সেন্টারের পাশ থেকে সকাল ৮টায় ছাড়ল বাস। ধান, ভুট্টা ক্ষেতের মাঝ দিয়ে বাস চলল। দু’দিকে তাকাই। মনে হয়, আমি কী স্বপ্ন দেখছি। পাহাড়ের গায়ে গায়ে বাড়িঘর, মেষপালক, আরও কত কি দৃশ্য। মনে হলো এ যেন কোনো ছবির দৃশ্য দেখে যাচ্ছি।

১১০ কিলোমিটার দূরে কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তের গুমরিতে ফলকে লেখা, ‘হোল্ড ইয়োর ব্রেথ, ইউ আর এনটারিং লাদাখ’। এরই একটু দূরে ৩ হাজার ৫২৯ মিটার উঁচুতে জোজিলা পাস হয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীতলতম স্থান। এই স্থানকে কেউ কেউ বলেন জোজিলা পাস।

বাস চলছেই। সন্ধ্যার আগেই এসে পৌঁছল কারগিলে। যাত্রীরা যারা লেহ শহরে যাবেন, তাদের একই হোটেলে রাখা হলো। কারগিলে এক রাত কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন বিকালে এসে পৌঁছলাম লেহ শহরে। এখানে এসে উঠলাম তিব্বত হোটেলে।

রুম থেকে দেখা যায় মনোরম পরিবেশ। সন্ধ্যায় তিব্বত ফ্রেন্ডস কর্নারে এসে যব থেকে তৈরি ছাঙ পানীয়ের স্বাদ নিলাম। একটার বেশি কী আর খাওয়া যায়! রাতে সবজি ও রুটি খাওয়ার পরে মাহবুব বলল, তিব্বতীয়দের গুঠগুঠ চায়ের স্বাদ নিতে পারেন।

চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মনে হলো, বহুদিন পরে চা খেলাম। রুমে শুয়ে আছি মাহবুব ও আমি। তখনই এক গাইডের আগমন। তিনি বললেন, আপনারা লেহ শহরে সঠিক সময়ে এসেছেন। এখানে বেড়ানোর মৌসুম জুন থেকে অক্টোবরের প্রথম।

এই ক’মাস গ্রীষ্মকাল এখানে। এ দিনগুলোতে লাদাখের লেহ শহরে সূর্য ওঠে সাড়ে ৫টার আগে, আর অস্ত যায় রাত ৮টারও পরে। তবে বসন্তে তীরন্দাজি উৎসবের পর্যটক আকর্ষণ কম নয়। সারা লাদাখ মেতে ওঠে তীরন্দাজি উৎসবে।

পরদিন বিকালে গাইডের সঙ্গে আমরা গেলাম এক বাড়িতে। সেখানে বসতেই দেখি একটি ছেলে সামনে এনে দিল পানি। পানি দেখতে কেমন জানি ঘোলা ঘোলা লাগছে। গাইডকে বললাম, এটা কী পানি? একটু হেসে জানালো এটাকে বলা হয় ‘ছাঙ পানি’।

অর্থাৎ এখানকার বিয়ার। কথাটা শেষ হতেই মাহবুব বলল, কেন, গতকাল যেটা খেয়েছিলাম, সেটাই তো! একটু পরে গাইড বলল, এখানে চা খেতে আরও ভালো লাগবে। জানেন, নুন মাখন দিয়ে চা তৈরি হয়...।

ওখান থেকে হোটেলে ফেরার পথে গাইড বলল, ‘আপনারা শ্রীনগর থেকে লেহ শহরে এসেছেন। তা আসার পথে শোনমার্গ, সারবাল, গুমরি, দ্রাস, খাসমার্গ, খর্বু, কারগিল, মুলবেক, নামিকা লা, বোধখর্বু, হেমিসকাট, ফাটুল্লা, লামায়রু, খালসে, সামপোল, নিমো আরও কত জায়গা দেখে দেখে এসেছেন।

আপনারা তো বড্ড ভাগ্যবান। আর আমি চিরকাল রয়ে গেলাম এই লেহ শহরে। ট্যুরিস্ট যারা আসেন, তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হয়...। বললাম, আপনি যাই বলুন না কেন, ভূস্বর্গের দেশের মানুষ, এটা কী কম ভাগ্যের কথা!
ফেরার পথে কারগিলে ছিলাম দুইদিন। ওখানে উঠলাম হোটেল গ্রিনল্যান্ডে। কারগিলে এসে শুনলাম, শ্রীনগর থেকে ২০৪ আর লেহ শহর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে সুরু নদীর পাড়ে ২ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতায় এ শহর।

দেখলাম, এখানে উইলো আর পপলার গাছ। আছে কত না ফুল ও ফলের গাছ। গম, বার্লি, সবজি বাগানও চোখে পড়ল। বিকালে এলাম ইমামবাড়া দেখতে। শুনলাম, এটি তুর্কি স্থাপত্যে গড়া। এখানে মহরম পালন করা হয় মহাসমারোহে।

শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদের বাস এই কারগিলে। একজনকে দেখলাম চাপদাড়ি রেখেছে। খুবই লম্বা, গায়ের রঙ ফরসা। তাকে দেখে সালাম দিলাম। নামটা বলতেই উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন...।

ওই ভদ্রলোকের নাম ‘আবুল কালাম আজাদ’। উনি দাওয়াত দিয়েছিলেন। সময় ছিল না বলে তার বাড়িতে খাওয়া হয়নি। উনিই জানিয়েছিলেন কারগিলে উর্দু, ইংরেজি ও আরবি ভাষার চল আছে। পায়ে পায়ে বেড়িয়ে নিয়েছিলাম কারগিল।

তারপর তো কারগিল থেকে শ্রীনগর হয়ে চলে আসা...। আজ বার বার মনে হয়, কোথায় যে ফেলে এলাম কাশ্মীর দেখার সেই নানা রঙের দিনগুলো...।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৫২ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১২
লিয়াকত/সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।