ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

আব্দুল আলীম-মাদার তেরেসার প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
 আব্দুল আলীম-মাদার তেরেসার প্রয়াণ আব্দুল আলীম-মাদার তেরেসা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার। ২১ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৫ মহররম ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৬১২- চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির নৌবাহিনী গঠিত হয়।
১৭৬২- ব্রিটিশবাহিনী বাজমহলের কাছাকাছি উদয়নালায় মীর কাসিমকে পরাজিত করে।
১৯৩৯- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে।
১৯৬০- রোম অলিম্পিক আসরে মোহাম্মদ আলি বক্সিংয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

জন্ম
৬৯৯- ইরাকি বিশেষজ্ঞ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব ইমাম আবু হানিফা।
১১৮৭- ফ্রান্সের রাজা অষ্টম লুই।
১৭৭৪- জার্মান চিত্রকর ডেভিড ফ্রেডরিখ।
১৯৫৪- ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার রিচার্ড অস্টিন।
১৯৭০- বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক।
১৯৭৯- ভারতীয় শাস্ত্রীয় যন্ত্রসংগীত শিল্পী আয়ান আলি খান।

মৃত্যু
১৫৬৬- তুর্কি সুলতান সোলায়মান আজম।
১৭৮৬- ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও পর্যটক জন হ্যানয়।
১৮৫৭- ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী অগুস্ত কোঁত।
১৮৫৯- শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুলেমান বন্দরনায়েক।
১৯৭১- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ তিনি।

১৯৭৫- লোকসংগীত শিল্পী আব্দুল আলীম।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম। বাংলা লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকেই সংগীতের অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য না হলেও অন্যের গাওয়া গান শুনে শিখতেন, আর বিভিন্ন পালা-পার্বনে সেগুলো গাইতেন। এভাবে গান গেয়ে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

১৯৯৭- শান্তিতে নোবেলজয়ী মানবতাকর্মী মাদার তেরেসা।
১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট তার জন্ম। ১৯৫০ সালে কলকাতায় তিনি ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামে একটি সেবাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। সেইসঙ্গে মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিকাশ ও উন্নয়নেও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। প্রথমে ভারতে ও পরে সমগ্র বিশ্বে তার এই মিশনারি কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৯ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি তার সেবাকার্যের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্নে ভূষিত হন।

২০০৯- সাবেক অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ সাইফুর রহমান।
২০১৬- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার লিন্ডসে টাকেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।