আরও পড়ুন: ক্যানসার মানেই মরে যাওয়া নয়: ডা. সোমনাথ দে
বাংলাদেশে এটিই একমাত্র বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আউটডোর সুবিধা থাকে। আর আউটডোরে যারা চিকিৎসা সেবা দেন তাদের সবাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, চিকিৎসা অধ্যয়নেও নাম করেছে এ হাসপাতাল। দেশ বিদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে এনাম মেডিকেল কলেজ।
বর্তমানে এটি এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি বেসরকারি হাসপাতাল। চার একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একই সঙ্গে চলে চিকিৎসা সেবা ও মেডিকেল অধ্যয়ন। এমবিবিএস কোর্সে এখানে দেশি- বিদেশি সাড়ে ৮শ’ শির্ক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে ১৫২ জন বিদেশি ছাত্র। যারা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ এবং নেপাল থেকে এসেছে।
শিক্ষার্থীদের মেডিকেল অধ্যয়নের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক লেকচার গ্যালারি। যেখানে মাল্টিমিডিয়া সুবিধায় সহজে মেডিকেল পাঠ দান করা হয়।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম মুজিবুর রহমান বলেন, প্রজেক্টর-স্পিকারের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার এমন সুবিধা দেশের অন্য কোন সরকারি মেডিকেলেও নেই।
বিদেশি ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য হাসপাতালের অনতি দূরে রয়েছে পৃথক আবাসিক ব্যবস্থা। যেখানে সার্বক্ষণিক বৈদ্যুতিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেশে বেসরকারি হাসপাতাতালের মধ্যে এনাম মেডিকেলকে মানদণ্ড ধরে নেয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, রোগীর বসার জন্য রয়েছে যথেষ্ট আসন। সব ফ্লোরেই রোগিদের বসার জন্য রয়েছে সোফার ব্যবস্থা। রোগিদের দ্রুত সেবা দেয়ার জন্য রয়েছেন ৬৪০ নার্স, আর ৭০০ ডাক্তার।
দেশে সরকারি ও বেসারকারি হাসপাতালে আউটডোরে যারা রোগি দেখেন তাদের প্রায় সবাই মেডিকেল অফিসার। কিন্তু এই সেবাকে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবায় নিয়ে যেতে আউটডোরেই রোগিরা সরাসরি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পান। খোদ মেডিকেল কলেজ প্রিন্সিপালও রোগি দেখেন আউটডোরে।
এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে হতাহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে। ওই সময় রানা প্লাজা ধসে আহত ১ হাজার ৭শ’ ৭৬ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয় হাসপাতালটি।
ওই ঘটনার চার বছর পর হাসপাতালটি তার সক্ষমতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়েছে । এখন আরো উন্নত চিকিৎসা সেবা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও পরিসর বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেয়া হচ্ছে এনামে।
ভারতের নামকরা ডাক্তাররা ক্যানসারসহ জঠিল রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন এনাম মেডিকেলে। এমনই একজন ভারতের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. সোমনাথ দে। তার তত্ত্বাবধানে ক্যানসার ইউনিট এখানে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কাদের নাজিম বাংলনিউজকে জানান, আউটডোরে দিনে ১ হাজার রোগী দেখা হয়। মোট ২৬টি বিভাগ রয়েছে হাসপাতালটিতে।
মূল ভবনের পেছনে ৭তলা একাডেমিক ভবন। যেখানে রয়েছে ৬টি লেকচার গ্যালারি। বাংলাদেশে আর কোন মেডিকেল কলেজে এ ধরনের আধুনিক লেকচার গ্যালারি নেই।
এ ভবনেও বসানো হয়েছে এমআরআই মেশিনসহ সার্জারির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
ডা. এনামুর রহমান ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এর প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শতাধিক। যাদের অনেকেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হয়ে দেশে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসএ/জেডএম