আরও পড়ুন:
এক ছাদের নিচে কিডনির সব চিকিৎসা
ওয়ান স্টপ মেডিকেল সার্ভিস গড়তে চাই: এনামুর রহমান
সেবায় অনন্য সাভারের এনাম মেডিকেল
ক্যানসার মানেই মরে যাওয়া নয়: ডা. সোমনাথ দে
বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে এনাম ক্যানসার সেন্টার
চিকিৎসা অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি ও উন্নত করার পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুবিধাও বেড়েছে মেডিকেল কলেজটিতে। অত্যাধুনিক লেকচার গ্যালারি স্থাপনের মাধ্যমে আকর্ষণীয় করা হয়েছে অবকাঠামো।
হাসপাতালের অবকাঠামোগত সুবিধা ও কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলানিউজের কথা হয় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
ঢাকার অদূরে শিল্প ও বাণিজ্য এলাকা সাভার থানা রোডের পার্বতীনগরে স্থাপিত এ হাসপাতালটি ক্যানসার চিকিৎসাসহ স্বল্প খরচে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে ইতোমধ্যে সবার আস্থা অর্জন করেছে।
অত্যাধুনিক মেশিনে রোগ নির্ণয় করে ক্যানসার ও কিডনি রোগের মতো জটিল চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে এখানে।
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের আস্থার জায়গাটা অর্জন করে সেবার কাজটিও করে যাচ্ছেন এনামুর রহমান। সেই রানা প্লাজা ধসের সময় তার হাসপাতালের কর্মীদের নিরলস চিকিৎসা সেবা বিশ্বকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো।
হাসপাতালের পরিচালক (ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং) ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল কাদের নাজিম বলেন, বাইরের হাসপাতালগুলোতে শুধু মেডিকেল অফিসার রোগী দেখলেও এখানে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক বা সহকারী অধ্যাপক রোগী দেখেন, যারা এফসিপিএস বা এমসিপিএস ডিগ্রি নিয়েছেন। মাত্র ৩শ টাকায় রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন।
তিনি বলেন, রোগী নয়, এখানে ডাক্তারই রোগী খুঁজতে থাকেন। এটা একদিনে গড়ে ওঠেনি। ডাক্তার, ছাত্র সবার সহযোগিতায় আমরা এমন জায়গায় আসতে পেরেছি।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে যে পারফরমেন্স দেখিয়েছিলো তাতে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বলছিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. একেএম মুজিবুর রহমান।
অধ্যক্ষ জানান, প্রতিবছর এখানে ১৪৫ জন করে শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন। ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। হাইলি কোয়ালিফায়েড শিক্ষক ও শহরের কোলাহল থেকে দূরে অবস্থানের কারণেও বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দ এ কলেজ।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে চাকরির অবসর শেষে দু’বছর আগে অধ্যক্ষ পদে যোগ দিয়েছেন মুজিবুর রহমান।
মেডকেল কলেজে দিন দিন পরিধি বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিউক্লিয়ার মেডিসিন ও ক্যানসারের বিষয়ে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। কার্ডিয়াক সার্জারির ব্যবস্থাও আসছে। এই মুহূর্তে কার্ডিয়াক সার্জন তৈরি করতে হলে বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করাতে হবে।
কলেজে বর্তমানে ২১৫ জন শিক্ষক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাও শতভাগ আবাসিক সুবিধা পান। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা জরুরি সার্ভিস, লিফট সুবিধা পান রোগীরা।
হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটটি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আর তাই প্রায় আশা-ভরসা ছেড়ে দেওয়া রোগীর স্বজনরাও আসছেন এখানে।
৬৬ বছর বয়সী দিনাজপুর চিরিবন্দরের আসিমুদ্দিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য গেলেও শরীরের অবস্থা নাজুক হওয়ায় ফেরত পাঠানো হয় তাকে। এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পথে আসিমুদ্দিনের ছেলে রিয়অজুল জানান, টাকা হলেই আমরা বাইরে যাই, কিন্তু দেশেও যে অল্প খরচে ভালো চিকিৎসা হয় সেটা জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ