মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ায় কালাজ্বরের টেকসই নির্মূল সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে সরকারের বাস্তবায়িত কর্মসূচি এবং নজরদারির কারণে জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কার্যক্রম সফলভাবে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশ থেকে পোলিও ও ধনুষ্টংকার নির্মূল করেছে। শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি পুরস্কার অর্জন করেছে। কালাজ্বর নির্মূলেও আমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে। সীমাবদ্ধ সম্পদের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এই অর্জনগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনেক দেশের কাছে রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কালাজ্বর সম্পূর্ণ নির্মূলে অচিরেই আমরা সফল হবো। বর্তমান সফলতা ধরে রেখে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা আরও নিবিড়ভাবে কাজ করলে শিগগিরই এদেশে একজনও কালাজ্বর রোগী থাকবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে অতিদরিদ্রদের মধ্যে এ ধরনের রোগ দেখা যায়। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত এলাকায় এই ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ সতকর্তা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি অতিদরিদ্র রোগীদের মধ্যে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএএম/আরবি/