সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ চিকিৎসক ও গবেষক ডা. রঙ্গন চ্যাটার্জি। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের স্ট্রেসের জন্য পুরোপুরি দায়ী।
১. ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু শুনলেই ভয় হয়। অথচ আপনার পাকস্থলীতে অসংখ্য উপকারী জীবাণু রয়েছে যা ক্যানসার হওয়া থেকেও রক্ষা করে আপনাকে। এই জীবাণুর সংখ্যা যদি কমে যায় তবে আপনার মেজাজও খারাপ হতে শুরু করবে। কেননা অনেক সময় আমরা শরীরের ভেতরের অস্বস্তি ধরতে পারি না। কিন্তু এটি প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। তাই উপকারী জীবাণুর সংখ্যা ধরে রাখতে আপনাকে প্রথমেই খেতে হবে দই, কাস্টার্ড অথবা দুধজাতীয় খাবার। তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া। ২. দেহে ভিটামিনের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রতিদিন পাঁচ রঙের সবজি বা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না কোন খাবার খেলে কী ভিটামিন পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সহজ উপায় ভিন্ন রঙের সবজি বা ফল বাছাই করা।
৩. চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। গবেষণায় বলা হয়েছে, নেশাজাতীয় যেকোনো দ্রব্যের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই চিনি। আপনি যত মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন ততই শরীরে চিনির চাহিদা তৈরি হবে। আর এটি মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
৪. ধূমপান করেন না আবার কফিও খুব একটা খান না। এতেই ক্যাফেইনমুক্ত বলে ভাবছেন নিজেকে? শুনলে অবাক হবেন চকোলেট, আইসক্রিম, হট চকোলেট, সিরিয়াল, পুডিং এমনকী ফ্রোজেন দইয়েও ক্যাফেইন রয়েছে। তাই ক্যাফেইনযুক্ত যেকোনো খাবার খাওয়ার পর হাঁটুন বা ভারি কাজ করুন। এতে ক্যাফেইন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারবে না। ৫. স্ট্রেসের সঙ্গে ক্ষুধাকে মিলিয়ে ফেলবেন না। রঙ্গন তার গবেষণায় দেখেছেন মানুষ মানসিক চাপে থাকলে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শুরু করে। বাইরে আড্ডায় ভাজাপোড়া বা জাঙ্কফুড খেয়ে যায় বিরামহীনভাবে। এটি মোটেও উচিত নয়।
আপনার দেহটাকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আপনার। মনের যত্ন নিন দেহেও রোগ বাসা বাঁধবে না। যথেষ্ট পরিশ্রম করুন পাশাপাশি অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
কেএসডি/এএ