তিন বছর ২৫০ শয্যা ঘোষণা করা হলেও মাত্র ১০০ শয্যা দিয়ে কোনো রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে মারাত্মক হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে খাতা কলমে সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা ঘোষণা করা হলেও তার কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। হাসপাতালটিতে সিনিয়র কনসালটেন্ট, চক্ষু সার্জারি, মেডিসিন, ইএনটি পদে চারজন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন একজন। জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থো, শিশু গাইনী, প্যাথলজি, অ্যানেস পদে পাঁচজনের জায়গায় রয়েছেন তিনজন। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রয়েছে একজন। প্যাথলজিস্ট একজন, রেডিওলজিস্ট একজন, মেডিক্যাল অফিসার আটজন। ডেন্টাল সার্জন নেই। ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার চারজনের জায়গায় রয়েছেন তিনজন। ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (নন ক্যাডার) পদে দুইজনের জায়গায় রয়েছেন একজন।
জরুরি বিভাগের ডাক্তার আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিন আগে যেসব ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে তার বেশিরভাগ ডাক্তার থানা পর্যায়ে চলে গেছে। যে কারণে আমাদের ডাক্তার সংকট দেখা দিয়েছে। এখানে ডাক্তার নিয়োগ দিলে আমাদের তথা মাগুরাবাসীর জন্য খুব ভাল হয়।
ডাটা এন্ট্রি আপারেটর শাহানাজ পারভিন বাংলানিউজকে বলেন, নার্সিং সুপারভাইজার পদে দুইজন কমরর্তা রয়েছেন। সিনিয়র স্টাফ নার্স ৭৫ জনের জায়গায় রয়েছেন ৭১ জন। স্টাফ র্নাস ১১ জন থাকলেও রয়েছে ১০ জন। শূন্য রয়েছে একজন।
মীরপাড়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা গৃহিনী মুন্নি পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলের ঠাণ্ডা ও ডায়রিয়ার কারণে হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নিতে। এখানে শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ১০টি। কিন্তু সব সময় রোগী থাকে ১০০ উপরে। ডাক্তার মাত্র একজন। অনেক সময় রোগী বেশি হওয়ায় মেঝেতে বসে চিকিৎসা নিতে হয়।
মাগুরায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার স্বপন কুমার কুণ্ড বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নিয়োগ না হলে আমরা ২৫০ বেড চালু করতে পারছি না। তবে আমি একাধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান করতে পারিনি। সরকার যদি অচিরেই ডাক্তারসহ জনবল নিয়োগ দিতো মাগুরাবাসীর চিকিৎসার উন্নয়ন হতো।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এনটি