বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খোরশেদ আলম জানান, বিশেষ করে বিদেশি যাত্রীরা এলে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি দেখেন।
বেনাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এখনো বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশে যাতায়াতকারী সবাইকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। যেসব স্বাস্থ্য কর্মী কাজ করছেন, তারাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। এতে এ পথে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রমও শুরু হয়নি এখনো। ফলে মরণঘাতি এ ভাইরাসটি সংক্রমণের যথেষ্ট ঝুঁকি থাকছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গত দুই দিন ধরে বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালকদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত তারা ৭০০ চালকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। চালকরা সবাই ছিলেন করোনা ভাইরাসমুক্ত। ট্রেনের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারী কার্গোর শ্রমিকদের মাধ্যমেও এ ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তাই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।
বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস শনাক্তে এ রেল রুটে যাতায়াতকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সংক্রমণ এড়াতে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।
উল্লেখ্য, ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে সপ্তাহের শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার যাত্রী নিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করে বন্ধন ট্রেন। সব মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকেন ৮-১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। এসব যাত্রীর মধ্যে ১২ শতাংশ বিদেশি। গত ১৫ জানুয়ারি চীনে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এনটি