সোমবার (২ মার্চ) নগরীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতর মিলনায়তনে ‘ডেভেলপমেন্ট অব সোশ্যাল অ্যান্ড বিহ্যাভিওরাল চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি) স্ট্র্যাটিজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ফর এনসিডিসি (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তরা একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান, এনসিডিসির প্রোগ্রাম ম্যানেজার আয়েশা আক্তার, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. আব্দুল আলিম।
বক্তারা বলেন, আগে সংক্রামক রোগ নিয়ে ভয় করতাম। কিন্তু এখন অসংক্রামক রোগ, ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিক এসিড, গ্যাসট্রিক, কিডনি রোগ, হৃদরোগ, ক্যানসার, হাঁপানি ও আর্থরাইটিস্ ভয়ের কারণ। তবে মনেরাখতে হবে অসংক্রামক রোগে আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করি। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও একটু সচেতন হলে এসব রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে পারি।
‘ধূমপান ও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে হবে। আমরা মডার্ন হয়ে গেছি, গাড়িতে চলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পায়ে হাঁটতে হবে। সুগার ও কোলেস্টেরল লেবেল কমিয়ে আনতে হবে। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাও জরুরি। কাজগুলো করলে অসংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ মিলবে বলে মনে করি। ’
তারা বলেন, ধূমপান অথবা তামাক পরিহার করা। সপ্তাহের অধিকাংশ দিন আধ ঘণ্টার করে হাঁটা ও হালকা ব্যায়াম করলে এই রোগে উপকার মিলবে। স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাবার হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেবে। অসংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পেতে চর্বি ও লবণযুক্ত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে সবজি, ফল, দানাদার শস্য, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া জরুরি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চার অনেক উপকার রয়েছে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি ওজন কমাবে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনবে, আর ইনসুলিনের সক্রিয়তাকে বাড়িয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ মাত্রার মধ্যে রাখবে।
‘দেশে ৫০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আর উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। দেশে ১০ থেকে ১১ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত ৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ৯৪ শতাংশই কমপক্ষে একটি অসংক্রামক রোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ’
এসনিডিসির লাইন ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান বলেন, অসংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকা শহরে হাঁটার পথ নেই, সিটি করপোরেশনকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। খাবার পরিবর্তন করতে হবে। আগে কমিউনিকেবল (সংক্রামক) রোগে বেশি মানুষ মারা যেতেন। এখন বেশি মানুষ মারা যান নন-কমিউনিকেবল বা অসংক্রামক রোগে। উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষের মধ্যে এই রোগ বেশি বলে আগে আমাদের ধারণা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এমআইএস/এএ